উলিপুরে সেচ দিয়ে চলছে রোপা আমনের আবাদ

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
০২ অগাস্ট ২০২৩

ঋতুতে এখন বর্ষাকাল, চলছে রোপা আমন ধান আবাদের মৌসুম। কিন্তু এবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ একেবারেই কম, বন্যাও তেমন হয়নি। ফলে আমন ধানের চারা রোপণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ধানচাষীরা।

নিম্নাঞ্চলের জমিতে বৃষ্টি পানিতে আমনের চারা রোপণ করা হয়েছে। তবে বৃষ্টি বা বন্যার পানি না হলে জমি শুকিয়ে যাবে বলে মনে করছেন চাষীরা। কেননা কয়েক দিনের রোদে জমির মাটি ফেঁটে চৌচির অবস্থা। ফলে আমনের আবাদ নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে চাষীদের।

উদ্ভুদ পরিস্থিতে সেচযন্ত্রের মাধ্যমে জমিতে পানি দিয়ে চারা রোপণের পরামর্শ দিচ্ছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ মতো অনেক কৃষককে চারা রোপণ করতে দেখা গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ হাজার ৫০০ হেক্টর। পর্যন্ত ১৮ হাজার ৫০০ হেক্টর অর্জিত হয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার গুনাইগাছ, থেতরাই, দলদলিয়া ইউনিয়ন পৌরসভা এলাকায় দেখা গেছে- ধান চাষীরা ডিজেল বিদ্যুৎচালিত সেচযন্ত্রের সাহায্যে কৃষিজমিতে পানি দিয়ে আমনের চারা রোপন করছেন। সেচযন্ত্রের জ্বালানির জন্য এবারের মৌসুমে খরচ বেড়ে যাবে চাষীদের।

নন্দু নেফরা গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, ‘আমনের রোয়া (চারা) গাড়ি (রোপণ) বৃষ্টির পানি দিয়ে। কিন্তু বেশ কয়দিন ধরে কোন বৃষ্টি নেই। সময় চলি (চলে) যাচ্ছে, কিন্তু পানির অভাবে রোয়া গাড়তে পারছি না। পানি থাকতে কয়েকটি জমিতে রোয়া গাড়ছি, কোন দিন যে সেগুলাও শুকি (শুকায়ে) যায়, সেই চিন্তায় আছি। বৃষ্টি না হইলে শ্যালো মেশিন দিয়া পানির ব্যবস্থা করা লাগবে।

দলদলিয়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুর রশিদ বলেন, বৃষ্টি নেই। বাধ্য হয়ে সেচ দিয়ে জমিতে ধান রোপণ করছি। মৌসুমে ধান উৎপাদন খরচ তুলনামূলক অনেক কম হয়। কিন্তু এবার সেচের সাহায্যে ধানচাষ করায় খরচ বেশি পড়বে।

বৃষ্টি না থাকায় কৃষকের আমন আবাদ নিয়ে সমস্যা হচ্ছে বলে জানান দলদলিয়া ইউনিয়নের (দক্ষিণ)  উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. নাজমুল হোসেন।  

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোশাররফ হোসেন জানান, কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি না থাকায় কৃষকদের সম্পূরক সেচ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এখনো যে সময় আছে তাতে আবাদের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা করা যায়।

 

বিডি/রোকন সরকার/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর