জেনে নিন শিশুর জ্বরের সঙ্গে খিঁচুনি কেন হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
০২ অগাস্ট ২০২৩

শিশুদের জ্বর হতে বেশি দেখা যায়। এ সময় শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় যেকোনো রোগে সহজেই কাবু হয়ে যায় শিশুরা।


তবে বেশি জ্বরে শিশুদের খিঁচুনি হয়ে থাকে। সাধারণত ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। প্রচণ্ড জ্বরের সঙ্গে খিঁচুনির সমস্যা হলে বেশিরভাগ অভিভাবকই ভয়ে পেয়ে যান। অনেকেরই জানা নেই এই খিঁচুনি ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে এমনিতেই থেমে যায়। আর তেমন কোনো স্বাস্থ্য সমস্যাও হয় না। তবে খিঁচুনি ১০ মিনিটের বেশি স্থায়ী হলে, শিশু নীল হয়ে গেলে, খিঁচুনির সঙ্গে বমি হতে থাকলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া উচিত।


পরিবারে এ রকম ইতিহাস থাকলে, গর্ভকালীন জটিলতা, জন্মের সময় অতিমাত্রায় ওজনের স্বল্পতা, জন্মের পরই শিশুর শ্বাস নিতে দেরি হওয়া, কান্না করতে দেরি হলে, গর্ভকালীন সময়ে মাথার আঘাতজনিত কারণে, জন্মের পরই জন্ডিসের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার জন্যও এ রোগ হয়ে থাকে। আবার ছোট বেলায় কোনো কারণে মস্তিষ্কে ইনফেকশনের কারণে পরে খিঁচুনি হতে পারে। অনেক অজানা কারণেও খিঁচুনি হতে পারে।


কী করবেন?


জ্বরের সঙ্গে খিঁচুনি হলে শিশুকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। শিশু পড়ে গিয়ে বা কোনো কিছুতে ধাক্কা লেগে যেন আঘাত না পায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। এ সময় শিশুকে কাত করে শুইয়ে দিন, যেন শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ না হয়ে যায়। যতক্ষণ পর্যন্ত না খিঁচুনি বন্ধ হচ্ছে ততক্ষণ একইভাবে কাত করে শুইয়ে রাখুন।


জ্বর কমানোর জন্য শিশুদের উপযোগী নাপা দিতে পারেন। জ্বরের মাত্রা পুরোপুরি নাও কমতে পারে। সেই ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল সাপোজিটরি আছে। এগুলো শিশুদের ক্ষেত্রে অনেক উপকারী। জ্বর যদি কারো ১০৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা হয় তখনই সাপোজিটরি দিতে হবে। 


খিঁচুনি বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে শিশুকে পরীক্ষা করান।


মন্তব্য
জেলার খবর