বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে দেশে আনতে চায় সরকার। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আদালত তাদের সাজা দিয়েছে, সরকার চাইছে তাদের দেশে এনে সেই রায় কার্যকর করতে। তাদের ফেরাতে বিচারবিভাগের নির্দেশ প্রত্যাশা করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে তাদের এ সাজা নিয়ে রাজনৈতিক পাড়ায় নানা আলোচনা চলছে।
এদিকে এ সাজাকে আওয়ামী সরকারের ফরমায়েশি রায়ের আরেকটি দৃষ্টান্ত বলে মনে করছে বিএনপি। দলটি বলছে, নির্বাচনের আগে এ ধরনের রায় দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। সাজার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারা দেশে যৌথভাবে সমাবেশ কর্মসূচি দিয়েছে যুব, ছাত্র ও স্বেচ্ছাসেবক দল। ঢাকা মহানগর বিএনপি থেকে শুক্রবার রাজধানীতেও সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার পরপরই দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ করার খবর পাওয়ায় গেছে।
বুধবার (২ আগস্ট) তারেক রহমানকে ৯ এবং জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদন্ডসহ অর্থদন্ড দিয়ে মামলাটির রায় ঘোষণা করেন আদালত।
রায় ঘোষণার পর সাজা কার্যকরের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, বিচারবিভাগ নির্দেশ দিলে দণ্ডপ্রাপ্তদের দেশে ফেরাতে তৎপরতা চালাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা কী স্ট্যাটাসে যুক্তরাজ্যে আছেন, সেটা মন্ত্রণালয়ের জানা নেই।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, সরকার তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অবশ্যই করবে, এটা সরকারের দায়িত্ব।
বিএনপির পক্ষ থেকে ফরমায়েশি রায় দাবি করা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, মামলাটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর করা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে তাদেরই নিয়োগপ্রাপ্ত সেনাপ্রধানের সখ্য ছিল। তারাই এ দুর্নীতি মামলা করেছে। বিএনপি এটাকে ফরমায়েশি বললে আইন সম্বন্ধে তাদের সম্মুখ ধারণা আছে কিনা সন্দেহ আছে।
নির্বাচনের আগে বিভ্রান্ত করা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, বিচারিক কাজ শেষে রায় বেরিয়েছে। এ আসামি আগে থেকেই সাজাপ্রাপ্ত, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা পেয়েছে। আরেকটা দুর্নীতির মামলায় সাত বছরের দণ্ডাদেশ রয়েছে। তাই নতুনভাবে তার ভাবমূর্তির খারাপ করতে সরকারের প্রচেষ্টার প্রয়োজন নেই।
বিডি/আর/এমকে