মানসিক উদ্বেগ দুরে রাখে ৭ ধরণের খাবার

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৩ অগাস্ট ২০২৩

সুস্বাস্থ্যের জন্য শারীরিকের পাশাপাশি মানসিক সুস্থতা দরকার। তাই মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদাসীন থাকলে চলবে না, নিতে হবে যত্ন।

মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক রয়েছে খাবারে সঙ্গে। মানসিক উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করেঅ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন-বি, ভিটামিন সি, ওমেগা ৩, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, বেরি জাতীয় ফল আর ডার্ক চকলেট।

অ্যামিনো অ্যাসিড আপনার মস্তিষ্ককে ভালো অনুভূতি তৈরি করতে সহায়তা করে। আমেরিকান ডায়েটিক অ্যাসোসিয়েশন (এখন একাডেমি অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিক্স নামে পরিচিত) এর মুখপাত্র সান ফ্রান্সিসকোর পুষ্টিবিদ ম্যানুয়েল ভিলাকোর্টা আরডি বলেছেন, ‘ট্রিপ্টোফ্যান সেরোটোনিনের একটি অগ্রদূত এবং এটি আপনাকে শান্ত বোধ করতে সহায়তা করে।

অ্যামিনো অ্যাসিড পাবেন টার্কি, মুরগির মাংস, কলা, দুধ, ওটস, পনির, সয়া, বাদাম, চিনাবাদাম মাখন, তিলের বীজ ইত্যাদি খাবারে।

গবেষণায় থায়ামিন বা ভিটামিন বি১ সহ ভিটামিন বি এবং আমাদের মুডের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। বি ভিটামিনের অভাব, যেমন ফলিক অ্যাসিড এবং বি ১২ এর অভাব কিছু মানুষের মধ্যে বিষণ্নতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই উদ্বেগ থেকে বাঁচতে ভিটামিন বি সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন বা বি ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন।

মানসিক অবসাদ দূর করতে বেশি করে ভিটামিন সি-জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করুন। কমলালেবু, গাজর, পালং শাক, বাঁধাকপি, লেটুস পাতা ইত্যাদি খাবারে ভিটামিন সি রয়েছে। এগুলো উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।

ওমেগা সমৃদ্ধ খাবার- স্যামন, টুনা, লেক ট্রাউট, হেরিং, ম্যাকেরেল, অ্যাঙ্কোভিস এবং সার্ডিনের মতো চর্বিযুক্ত মাছ। এগুলো মুড ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

দই উচ্চ-প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার প্রোটিন মস্তিষ্কের রাসায়নিক নোরপাইনফ্রাইন এবং ডোপামিনের উৎপাদনকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে। প্রোটিনের ভালো উৎসের মধ্যে রয়েছে- দই, মাছ, মাংস, পনির, ডিম, বাদাম, মটরশুটি, সয়া এবং মসুর ডাল।

বেরি জাতীয় ফল হলো- ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি, স্ট্রবেরি, জাম ইত্যাদি। এগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। উপাদানগুলো মস্তিষ্কের কোষ সচল সজীব রাখে। ফলে উদ্বিগ্নতা কমে।

ডার্ক চকলেটে রয়েছে এমন কিছু পুষ্টি যৌগ, যা মানসিক অবসাদ দূর করে। বাদাম কাঠবাদাম, আখরোট, চীনাবাদামে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ম্যাগনেসিয়াম উপাদানগুলো মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করে।

 


বিডি/আরএম/এল্স/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর