কদর বেড়েছে ছাতা মেরামতের কারিগরদের

আবু ইউসুফ, নওগাঁ প্রতিনিধি
০৩ অগাস্ট ২০২৩

এবার বর্ষাকালে আবহাওয়ার চিরচেনা রূপের জায়গায় বেরী মনোভাব দেখা যাচ্ছে। আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবণে শেষ দিকে রওনা দিলেও মষুলধারে অবিরাম বৃষ্টি ঝরেনি এখনো। তারপরও চলনবিল অঞ্চলের নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় আগের বছরগুলোর মতোই ছাতা বিক্রেতা কারিগরদের ব্যস্ততা দেখা যাচ্ছে। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা এখনো শেষ না হওয়ায় নতুন ছাতার কদরসহ পুরাতন ছাতা মেরামত কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে বহুগুণ।

উপজেলার ভবানীপুর-মির্জাপুর বাজারে দেখা যায়, ছাতা মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ছাতা কারিগরেরা। ছাতা কারিগর রইচ উদ্দিন জাহাঙ্গীর আলম জানান, বর্তমানে প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় ছাতার কাপড়, হাতল, স্প্রিং প্রভূতি জিনিসপত্র কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। সরবরাহ রয়েছে অনেক কম। তারা আরো বলেন, সারা বছর ধরতে গেলে তাদের বসেই থাকতে হয়। খুব একটা কাজ থাকে না। তবে সময়টাতে তাদের কাজের চাপ বেড়ে যায় বহুগুণ।  ছাতা মেরামত করে কারিগররা প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত আয় করেন বলে জানান গেছে।

ভবানীপুর বাজারে ছাতা মেরামত করাতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, চারটি ছাতা নষ্ট হয়ে ঘরে পড়েছিল। বৃষ্টির সময় ছাতার দরকার হয়। তাই ঠিক করতে এসেছি।

ভবানীপুর বাজারের বিস্মিল্লাহ্ কসমেটিক্স এর মালিক সবুজ সরদার বলেন, আমাদের এখানে খুচরা পাইকারি দরে ছাতা বিক্রি হয়। বর্তমানে ফোল্ডিং ছাতা' চাহিদা একটু বেশি। ভাঁজহীন দেশি ছাতা ১৯০ থেকে ২১০ টাকা এবং দেশি-বিদেশি দুই ভাঁজের ছাতা ৩৫০ থেকে ৪১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

বিডি/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর