ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নবগঠিত কমিটি নিয়ে তর্ক-বিতর্ক ও সমালোচনা চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা হচ্ছে নেতিবাচক মন্তব্য। নেতিবাচক ও বির্তকের কারণ এসব কমিটিতে রাজাকারের ভাতিজা, হত্যা, চুরি ও মাদক মামলার আসামি রয়েছে। তাছাড়া সংগঠনটির উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিতে স্থান পেয়েছে অন্য উপজেলার বাসিন্দা।
বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য বলছে, সোহাগী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলমের বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক মামলা। এ বিষয়ে মাহাবুব আলম বলেন, শত্রুতার জেরে অনেক আগে একটি মাদক মামলায় আমাকে জড়ায় আমার প্রতিপক্ষরা। বর্তমানে আমার নামে কোনো মামলা নেই।
সরিষা ইউনিয়নের সভাপতি মানিকের বিরুদ্ধে হত্যা, চুরি মামলা রয়েছে। একই ইউনিয়নে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেনের চাচা একজন রাজাকার, দাবি স্থানীয়দের। সভাপতি মানিক বলেন, এগুলো সব রাজনৈতিক মামলা। বিএনপির শাসনামলে এসব মামলা হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন বলেন, আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। আবুল হাসেম নামের কোন রাজাকার থাকতে পারে, কিন্তু সে আমার চাচা না।
ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে আফজাল হোসেন হিমেল নামে একজন স্ট্যাটাস দিয়েছেন, ‘ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৪৩ নম্বর সদস্য শরিফ হাসান রাকিবের বাড়ি কেন্দুয়া থানার গন্ডা ইউনিয়নে। উনি কেন্দুয়া উপজেলায় রাজনীতি করেন। উনার নাম ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় আসলো কিভাবে?’ অপর একটি আাইডি থেকে পোষ্ট করা হয়, ‘বাণিজ্যিক কমিটির মাশুল এক সময় দিতে হবেই। হয় আজ, না হয় কাল অথবা পরশু। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভরাডুবি হচ্ছে। একজন কর্মী হিসেবে এটা লজ্জার।’
ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাজমুল হক মন্ডল বলেন, কমিটিগুলো উপজেলা আওয়ামী লীগের সাথে সমন্বয় করেই দেওয়া হয়েছে। মামলার বিষয়গুলো আমাদের জানা ছিল না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাফির উদ্দিন আহমেদ বলেন, অনুমোদিত কমিটিতে বিতর্কিত কেউ থাকলে যাচাই-বাছাই পুর্বক জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাদের নির্দেশনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিডি/হুমায়ুন কবীর/সি/এমকে