নাটোরের গুরুদাসপুরের ৯ ব্যবসায়ীর প্রায় ৭ মে.টন রসুন নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে ট্রাকচালক জনৈক সুমন আলী । এ ঘটনায় ট্রাক ভাড়ার মধ্যস্থতাকারী বড়াইগ্রামের রয়না-ভড়ট গ্রামের ব্যবসায়ী হারুন গুরুদাসপুর থানায় অভিযুক্ত চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন।
গত বুধবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার নয়াবাজার তাড়াশের নাদো সৈয়দপুর হাট থেক কেনা রসুন ট্রাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন ওই চালক। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তার সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও এরপর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে না। তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
অভিযোগের কপি ও ব্যবসায়ী সুত্রে জানা গেছে, নয়াবাজার হাট থেকে ৬ ব্যবসায়ী ৩ টন ৬৩০ কেজি ও পাশ্ববর্তী নাদো সৈয়দপুর বাজার থেকে ৩ ব্যবসায়ী ৩ টন ৬০ কেজি রসুন ক্রয় করেন। একই দিনে এসব ব্যবসায়ী যৌথভাবে হারুনের মাধ্যমে ট্রাকটি ভাড়া করেন((ঢাকা মেট্টো-ড-১৪-৬৬৮৬)। ঢাকার বিভিন্ন মোকামে রসুনগুলো পৌছানোর কথা ছিল চালকের।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী নয়ন আলী, আব্দুল হান্নান, রফিক হোসেন জানান, তারা স্থানীয় হাটথেকে রসুন কিনে ঢাকার আড়তে বিক্রি করেন। বুধবার দুই হাটের ৯ ব্যবসায়ী অন্তত ১৩ লাখ ৫১ হাজার টাকায় এ রসুন কেনেন। গাজীপুর চৌরাস্তা, বাইপেইল ও কোনাবাড়ি আড়তে পৌছানোর জন্য সাড়ে ১২ হাজার টাকা চুক্তিতে ট্রাকটি ভাড়া করেছিলেন হারুন।
ট্রাকের মধ্যস্থতাকারী হারুন জানান, সবশেষ বৃহস্পতিবার সকালে চালক টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে থাকার কথা জানান। এরপর থেকে চালকের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান জানান, রসুন উদ্ধারে পুলিশ গুরুত্বের সাথে চেষ্টা করছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
বিডি/সাজেদুর রহমান সাজ্জাদ/সি/এমকে