সিলেট নগরের ধানুহাটারপাড়া এলাকায় একসঙ্গে ৪৫টি পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানোর ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত ইসহাক নামে আরো একজনকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রেছে পুলিশ।
রোববার (৬ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে অভিযুক্তদের কোরআন শরীফ পোড়ানো দেখে তাদের গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা।
গ্রেফতার দুজন হচ্ছ- সিলেটের গোলাপগঞ্জের বসন্তপুর গ্রামের মৃত ফজুর রহমানের ছেলে নুরুর রহমান ও সিলেট আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মাহবুব আলম (৪৫)।
মাহবুব ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট থানাধীন বাউলাপাড়া এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে, চাকরির সুবাধে মাববুব গ্রেফতারের আগে ধানুহাটারপাড় এলাকায় বসবাস করতেন।
জানা যায়, নুরুর রহমান ও মাহবুবুল আলম পার্শ্ববতী দোকান থেকে কেরোসিন এনে ৪৫টি কোরআন শরীফে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় স্থানীয়রা দেখে উত্তেজিত হয়ে উঠে, তাদের ধরে গণধোলাই দেয়। এ সময় স্থানীয় কাউন্সিলর ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে একটি রুমে হেফাজতে রাখেন। পরে পুলিশ তাদেরকে থানায় নিয়ে যায়।
এর আগে রোববার (৬ আগস্ট) বিকালে সিলেট আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান নুরুর রহমানের কাছে কার্টুন ও বস্তাভর্তি কোরআন শরীফ দিয়ে যান জালালাবাদ থানাধীন ফতেহপুর মাদ্রাসার শিক্ষক ইসহাক। পুলিশ ইসহাককে খুঁজছে।
এদিকে কোরআন শরীফ ঘটনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে রোববার রাতেই উত্তেজিত হয়ে উঠে স্থানীয়রা। তারা বিক্ষোভ মিছিল করে. পুলিশকে লক্ষ্য ইট-পাটকেল ছুড়ে। ইটের আঘাতে বেশ ক’জন পুলিশ সদস্য আহত হয় এবং পুলিশের গাড়ী ভাংচুর হয়। রাত ২টার দিকে পুলিশ টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত পুলিশ সদস্যদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী জানান, কুরআন শরীফ পোড়ানার জন্য ঘটনাস্থল থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত কুরআন শরীফ উদ্ধার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমকি জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
বিডি/সাকিব আল মামুন/সি/এমকে