পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে অর্থনৈতিক পাওয়ারহাউজ হতে পারে বাংলাদেশ।আঞ্চলিক বাণিজ্য, ট্রানজিট ও লজিস্টিক নেটওয়ার্ক উন্নয়নের মাধ্যমে এই পাওয়ারহাউজ হতে পারে- এমনটাই মনে করেন বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) ‘কানেকটিং টু থ্রাইভ: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটিস অব ট্রান্সপোর্ট ইন্টেগ্রেশন ইন ইস্টার্ন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক প্রতিবেদনে প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ হচ্ছে- ভারত, নেপাল, ভুটান ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে প্রবেশের গেটওয়ে। গত দশকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য বেড়েছে যথেষ্ট পরিমাণে, তবে বর্তমান সম্ভাবনার চেয়ে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার কম। আঞ্চলিক ও বাণিজ্য ট্রানজিট শক্তিশালী করতে আঞ্চলিক সড়ক, জলপথ করিডোর, স্থলবন্দর, বাণিজ্যের জন্য ডিজিটাল ও স্বয়ংক্রিয় সিস্টেমে উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করছে বিশ্বব্যাংক। প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলেছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে উঠলে বাংলাদেশে জাতীয় আয় বাড়বে ১৭ শতাংশ এবং ভারতের বাড়বে ৮ শতাংশ। এই দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হলে ভারতে বাংলাদেশের রফতানি বাড়বে ১৮২ শতাংশ এবং বাংলাদেশে ভারতের রফতানি বাড়বে ১২৬ শতাংশ।
এমকে