আগামী ছয় মাসের মধ্যে দেশের বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ করা হবে। এ সময়ে মধ্যে মিলগুলো খোলা সয়াবিন তেল কীভাবে বিক্রি বন্ধ করবে, তার কর্মপরিকল্পনা আগামী সাত দিনের মধ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে পাঠাবে।
এদিকে কিছুটা মূল্য বৃদ্ধি পেলেও স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় নিম্নআয়ের মানুষকে প্যাকেটজাত তেল ব্যবহার করা উচিত। তাদের কথা বিবেচনায় নিয়ে খরচ কমিয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের ছোট বোতল, পাউচ প্যাক ও মিনি প্যাক প্রস্তুতের আহবান থাকছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি।
খোলা সয়াবিন তেল বিপণন ও বিক্রি বন্ধ সংক্রান্ত সচেতনতামূলক সভায় খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধের বিষয়টি জানান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান। সোমবার (৭আগস্ট) রাজধানী ঢাকার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এ সভা হয়। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন এএইচএম সফিকুজ্জামান।
সফিকুজ্জামান জানান, অধিদপ্তরে পাঠানো মিলগুলোর কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যায়ক্রমে মনিটরিং করবে অধিদপ্তর। পহেলা আগস্ট থেকে খোলা সয়াবিন তেল বন্ধের বিষয়ে সারা দেশে মোটিভেশনাল তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। খোলা সয়াবিন তেলের ক্ষতিকর দিক নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে মনিটরিং ও প্রচারণা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সভায় অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, ডিজিএফআইয়ের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধি, বিএসটিআইয়ের প্রতিনিধি, এনএসআইয়ের প্রতিনিধি, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ ভোজ্যতেল রিফাইনারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বিডি/ই/এমকে