ধর্ষণে ব্যর্থ হয়েই হত্যার পর জাহানারার লাশ ফেলে পালায় সোহাগ

মানিকগঞ্চ সংবাদদাতা
০৯ অগাস্ট ২০২৩

ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েই মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার চল্লিশ বয়সী জাহানারা খাতুনকে হত্যা করেছে তেইশ বয়সের সোহাগ ইসলাম। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের জট উদঘাটনে করতে গিয়ে এ তথ্য জানতে পারে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইড)।

হত্যাকান্ডের ৬ মাসের মাথায় এ মামলার রহস্য উদঘাটন হলো। এ হত্যাকান্ডে জড়িত অভিযোগে সোহাগ ইসলামকে আটকের পর তার কাছে থেকেই হত্যার রহস্য বেরিয়ে পড়ে। সোহাগ ইসলাম আদালতে হত্যার দায় ঘাড়ে নিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।  

সোহাগ ইসলাম দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার লক্ষনপুর গৌরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রুস্তম আলীর ছেলে। তথ্য প্রযুক্তি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত ৬ আগস্ট গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকার কুনিয়া নতুন পাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানার ফোর্ডনগর এলাকায়  কলাইয়ের ক্ষেত থেকে জাহানার খাতুনের (৪০) লাশ অজ্ঞাতনামা হিসেবে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জাহানারার ভাই বোন লাশের পরিচয় পুলিশকে নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় জাহানারা খাতুনের ভাই শাহের আলী সিংগাইর থানায় একটা হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামির কথা উল্লেখ করা হয়।

পরবর্তীতে মামলাটির তদন্তভার পুলিশের হাত থেকে সিআইডির উপর ন্যাস্ত হয়। সিআইডির এডিশনাল আইজিপির নির্দেশে সিআইডি মানিকগঞ্জ মামলাটি তদন্ত শুরু করে।

সিআইডি মানিকগঞ্জের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম জানান, আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহাগ জানায়- জাহানারাকে সে একাই হত্যা করেছে। এরপর লাশ ঘটনাস্থলে ফেলে পালিয়ে যায়।

 

বিডি/সি/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর