বিগত পনের বছরের মধ্যে এশিয়ার বাজারে চালের দাম রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। এক
বছরে চালের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ। শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে
থাইল্যান্ডে ধান না হওয়া এবং ভারত চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় চালের দাম বৃদ্ধি
পেয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে তারা।
বুধবার (৯ আগস্ট) থাই রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, থাই সাদা
চালের দাম এশিয়ান বেঞ্চমার্ক এক লাফে বেড়ে টনপ্রতি ঠেকেছে ৬৪৮ ডলারে, যা ২০০৮ সালের
অক্টোবরের পর সবচেয়ে বেশি। ফলে এক বছরে চালের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
এশিয়ার সিংহভাগ মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত। চালের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন
নিম্ন আয়ের মানুষ। তাছাড়া চাল আমদানিতে বেশি অর্থ লাগায় দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি বাড়তে
পারে।
গত মাসে অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে বাসমতি ছাড়া অন্য সব ধরনের চাল
রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। এতে যেসব দেশ ভারতের চাল সরবরাহের ওপর নির্ভর করে
থাকে, সেসব দেশে চাল সরবারহে সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীরা মজুদের দিকে ঝুঁকছেন,
যা বাজার দরকে আরো উপরে তুলবে।
তাছাড়া চালের বাজার অস্থির করে তোলার পিছনে কাজ করছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।
লম্বা সময় ধরে চলা এ যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে এর প্রভাব পড়েছে। কৃষ্ণ সাগর দিয়ে বিশ্বে
শস্য রপ্তানি ১৭ জুলাই থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। রাশিয়া রাজি না হওয়ায়, জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় করা এ চুক্তি নবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
এ চুক্তির ফলে মাধ্যমে ইউক্রেনের বন্দরগুলো দিয়ে প্রায় ৩৩ মিলিয়ন মেট্রিক
টন খাদ্য রফতানি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
অন্যদিকে ধান রপ্তানিতে শীর্ষে থাকা দেশ থাইল্যান্ডে ধান উৎপাদন ৪০ ভাগ
কমে গেছে। দেশটিতে প্রবল খরার কারণে বছরে একবার ধান রোপনের পরামর্শ দেয় সরকার। এছাড়া
পানি ব্যয় হয় না এমন ধরনের ফসল উৎপাদনের জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়।
আরআই