পঞ্চগড়ে নদীপাড়ে সড়কের ভাঙন ঠেকাতে নেই কোনো উদ্যোগ

মো.সম্রাট হোসাইন,পঞ্চগড় থেকে
১২ অগাস্ট ২০২৩


কয়েকশ মিটার সড়ক ইতোমধ্যেই নদীর পেটে চলে গেছে। নদীর পাড়ের এ জায়গা পার হওয়ার সময় ঝুঁকি এড়াতে যাত্রীরা যানবাহন থেকে নেমে হেঁটে যায়। ভাঙনের অংশ পার হলে আবার যানবাহনে উঠে।

দীর্ঘদিন ধরে ধীরে ধীরে সড়কটি ভেঙে যাচ্ছে। যাত্রীদের মতোই  সে দৃশ্য দেখছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা। যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে সড়কের ভাঙন ঠেকাতে কেউই উদ্যোগ নেয়নি।

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার আউলিয়ার ঘাট-বদেশ্বরী এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কালিয়াগঞ্জ, বড়শশী,চিলাহাটি তিনটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন উপজেলা শহরে। 

ঘোড়ামারা নদীর আউলিয়ার ডাঙ্গা এলাকা পয়েন্টে সড়কটিতে ভাঙন দেখা দেখা দিয়েছে।

সড়কের এমন পরিস্থিতিতে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।অন্যদিকে অতি বৃষ্টি হলে কাঁদাপানিতে একাকার হয় সড়কটি। ফলে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হয় মানুষকে।

সরেজমিনে কথা হয় ভাউলাগঞ্জ এলাকার মনির হোসেনের সঙ্গে। বলেন, সড়কটির কিছু অংশ ঘোড়ামারা নদীতে ভেঙে গেছে।মানুষের বাঁশবাগানের ভিতর দিয়ে চলাচল করতে হয়। প্রতি বছরেই সড়কটি নদীতে ভেঙে পড়ছে। কিন্তু সড়কটি রক্ষার্থে কোন ব্যবস্থা নেয়নি কেউ।

বদেশ্বরী এলাকার অটোভ্যান চালক আইয়ুব আলী ও মন্তাজ আলী বলেন,আউলিয়ার ডাঙ্গা এলাকায় সড়কটি যে পরিমাণ নদীতে ভেঙে গেছে, তাতে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।এ ছাড়া কাঁদাপানিতে গাড়ি চালাতে দুর্ভোগে পড়তে হয়।

 সড়কটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানান তারা।

বোদা উপজেলা এলজিইডির উপসহকারি প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ এরফান আলী চৌধুরী জানান,  ভাঙন অংশটিতে সড়ক মেরামত করার দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের। এছাড়া সেখানে একটি সেতু নির্মাণ করা হবে। সেটা হলে সেখানকার সড়কের নকশা পরিবর্তন হয়ে বদেশ্বরী মন্দিরের সামনে গিয়ে উঠবে।

পঞ্চগড় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশুতোষ বর্মন জানান,বিভিন্ন জায়গায় নদী ভাঙন রয়েছে। আমরা অর্থ বরাদ্দ চেয়েছি, পেলে সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



বিডি /সি/এমকে 


মন্তব্য
জেলার খবর