null
একাদশ সংসদ নির্বাচনের তুলনায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশে ভোট কেন্দ্র বাড়ছে ২ হাজার ১৯৭টি, শতাংশে ৫.৪। সেই সঙ্গে ২৬.২২ শতাংশ বাড়ছে ভোটকক্ষের সংখ্যা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা হতে পারে প্রায় ৪২ হাজার ৩৮০টির মতো। প্রাথমিক খসড়ার এ হিসাব চুড়ান্তের সময় কমবেশি হতে পারে। তবে প্রাথমিক খসড়ায নির্বাচনী ১০টি অঞ্চলের মধ্যে কুমিল্লা অঞ্চলে কেন্দ্র ও ভোটকক্ষ বেশি বাড়ছে এবার।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে খসড়া ভোট কেন্দ্রের তালিকা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম। রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি। তার আগে বুধবার (১৭ আগস্ট) এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
প্রাথমিক খসড়া তালিকার বিষয়ে যে কোনো ভোটার ৩১ আগস্টের মধ্যে দাবি-আপত্তি বা অভিযোগ করতে পারবেন। ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির পর খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত হবে ১৭ সেপ্টেম্বর। ভোটগ্রহণের ২৫দিন আগে চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ করবে ইসি।
ভোটকেন্দ্রের নীতিমালা অনুযায়ী- ভোট কেন্দ্র স্থাপনের ক্ষেত্রে যাতায়াতের সুবিধা, ভবনের আয়ুষ্কাল, ভোটার বৃদ্ধি, সরকারি ভবনের প্রাধান্য, রাজনৈতিক দলের প্রভাব রয়েছে বা উন্মুক্ত নয় এমন স্থানে ভোটকেন্দ্র না করা, রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তির নামের প্রতিষ্ঠানকে ভোটকেন্দ্র না করা প্রভৃতি বিষয় আমলে নিতে হবে। এসব বিষয়ের ব্যত্যয় হলে দাবি—আপত্তি জানানোর সুযোগ আছে যে কোনো ভোটারের।
ইসি সচিবের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কক্ষের সংখ্যা ৫৪ হাজার ৩৪৯টি বাড়ছে, দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৬৬৮টি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটকক্ষের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৩১৯টি।
কুমিল্লায় ভোটকক্ষ বাড়ছে ৩০ দশমিক ১৩ শতাংশ। ১১ দশমিক ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে ভোট কেন্দ্র। সব থেকে কম ভোটকক্ষ বেড়েছে ঢাকায় ২১ দশমিক ৮৭ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট কেন্দ্র বাড়ছে সিলেট অঞ্চলে, একাদশের দুই হাজার ৮০৫টি কেন্দ্র থেকে বেড়ে দুই হাজার ৮৬৫ হচ্ছে। একাদাশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৪০ হাজার ১৮৩টি।
বিডি/এন/এমকে