বছরের এ সময়টা অনেকেই অ্যালার্জিতে ভোগেন। অ্যালার্জিতে গায়ে র্যাশ হওয়া
কিংবা জ্বরে অনেকেই কাবু করে ফেলে। তাই অ্যালার্জিক ব্যক্তিদের কিছুটা অধিক সাবধানতা
অবলম্বন করতে হয়। কিছু বিষয় মেনে চললে অ্যালার্জি থেকে রেহাই মিলতে পারে।
মূলত শরীরে অ্যালার্জিক রিয়েকশন তখনই দেখা দেয় যখন রক্তের রোগ-প্রতিরোধের
দায়িত্বে থাকা কণিকাগুলো তুলনামূলক অক্ষতিকর কোনো উপাদানকে দেহের জন্য ক্ষতিকর ভেবে
বসে। ফলে দেহে তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে অ্যালার্জির উপসর্গ দেখা যায়।
অ্যালার্জির উপসর্গ:
একেক ব্যক্তির মাঝে অ্যালার্জির উপসর্গের রূপ একেকভাবে প্রকাশ পেয়ে থাকে।
কারও ক্ষেত্রে মাত্রাটা কম, কারও ক্ষেত্রে বেশি। তবে ঋতুভিত্তিক অ্যালার্জির ক্ষেত্রে
কিছু সাধারণ লক্ষণ দেখা যায় সেগুলো- সর্দি-কাশি, নাক বন্ধ হয়ে থাকা, চোখে পানি আসা,
হাঁচি, গোঙানি, চোখ ও নাক অনবরত চুলকানো এবং চোখের নিচে ক্ষত হওয়া, জ্বর হওয়া।
অ্যালার্জির প্রভাব কমাবেন যেভাবে-
বাসার স্যাঁতসেঁতে স্থান পরিষ্কার রাখুন
মোল্ড ছত্রাক থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। এ ধরনের ছত্রাক আমাদের ঘরের ভেজা
স্যাঁতসেঁতে স্থান, যেমন- টয়লেট, রান্নাঘর, লন্ড্রিরুমে থাকে। এক্ষেত্রে বাড়িতেই ভিনেগারের
দ্রবণ দিয়ে মোল্ডযুক্ত পার্টগুলো পরিষ্কার করে নিতে পারেন।
বাসার পরিবেশ ধূমপানমুক্ত রাখুন
অ্যালার্জির সময় একেবারেই ধূমপান পরিহার করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। নিজ
বাসার পরিবেশ যথাসম্ভব ধূমপানমুক্ত রাখুন। এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তুলবে।
শয্যা হতে হবে পরিষ্কার
আপনার বিছানা বা শয্যা যদি পরিষ্কার না থাকে তাহলে অ্যালার্জির শুরুটা সেখান
থেকেই হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। বিছানাপত্রে প্রচুর পরিমাণে ডাস্ট মাইট পাওয়া যায়।
তাই নিয়মিত ঘরের চাদর, পর্দা বালিশের কাভার পরিবর্তন করুন। প্রয়োজনে ভ্যাকিউম ক্লিনার
ব্যবহার করুন।
সুগন্ধী ক্লিনার ব্যবহার করবেন না
অ্যালার্জি থেকে বাঁচতে গন্ধহীন পরিষ্কারক ব্যবহার করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
নন-ক্লোরিন ক্লিনার এবং ডিটারজেন্ট বেছে নিতে পারেন।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস