মুলহোতারা বাইরে, জেলহাজতে ইজারাদারসহ মানসিক প্রতিবন্ধী মাঝি

মো.সম্রাট হোসাইন,পঞ্চগড় থেকে
১৯ অগাস্ট ২০২৩

null

ইজারার কাগজপত্রে নাম না থাকায় পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার আলোচিত নৌকাডুবির ঘটনায় প্রকৃতভাবে জড়িতরা পার পেয়ে গেছে। বিপরীতে নৌকা চালানোর কারণে এ দুর্ঘটনায় হওয়া মামলায় ফেঁসে গেছে নৌকার মাঝি বাচ্চু মিয়া ও রবিউল ইসলাম,  আর  নিজের নামে ইজারা থাকায় তাদের সঙ্গে ফেঁসেছে ইজারাদার আব্দুল জব্বার। এদের মধ্যে মানসিক প্রতিবন্ধি বাচ্চু মিয়া ও আব্দুল জব্বার ৬ মাস ধরে জেলহাজতে রয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

স্থানীয়রা জানান, ঘাটটি আব্দুল জব্বার নিজের নামে ইজারা নিলেও পরিচালনা করতো স্থানীয় হাচেন আলীর ছেলে নুর নবী, নজরুল ইসলামের ছেলে নুর ইসলাম, সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য তারামিয়াসহ আটজন। অথচ মামলা করা হয়েছে মাত্র তিনজনের নামে।

আউলিয়ার ঘাট এলাকার সফিকুল ইসলাম,সুলতান,গ্রাম পুলিশ শাহজাহান,আব্দুল হালিম,জয়লা বেগম,আলিমসহ একাধিক ব্যক্তি মানসিক প্রতিবন্ধী বাচ্চু মিয়াকে নিরাপরাধ  উল্লেখ করে বাচ্চুমিয়াকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানান।

ঘাট ইজারাদারের স্ত্রী জয়লা বেগম জানান, ১২ লাখ টাকা কোথায় পাবো আমরা। নুর নবী,নুর ইসলাম,তারামিয়া টাকা দেয় লাখ করে, হাকিমসহ আমরা দেই লাখ টাকা। প্রতিমাসে নৌকা থেকে আসা দিনের আয়  নেয় তারামিয়া,নুর নবী,নুর ইসলাম। হাকিম আমরা গ্রহণ করি দিন করে। অপরাধী হলে সবাই হবে। আমার স্বামী একা কেন?

ঘাট ইজারায় অংশীদারদের একজন ইউপি সদস্য তারা মিয়া বলেন, আব্দুল জব্বারের নামে ইজারা নিয়ে হাকীম, নুর নবী, নুর ইসলামসহ আমার শেয়ার আছে এ ঘাট ইজারায়। আমি শুধু পরিচালনা করতাম। দূর্ঘটনার দিন নৌকায় ছিলাম। ভাগ্য ভালো, জানে বেঁচে গেছি।

জানা যায়, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে করতোয়া নদীর বোদা উপজেলার মারেয়া আউলিয়ার ঘাটে পারাপারের নৌকাটি ডুবে যায়। এ দুর্ঘটনায় নিহত হয় ৭২ জন। পরবর্তীতে এ দুর্ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি ঘাট ইজারাদার আব্দুল জব্বারসহ চালক রবিউল ইসলাম বাচ্চুমিয়ার নামে মামলার সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদন অনুযায়ী নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মূখ্য পরিদর্শক শফিকুর রহমান বাদী হয়ে তাদের নামে মামলা করে। এ মামলায় ইজারাদার বাচ্চুমিয়াকে ১৪ মার্চ পুলিশ গ্রেফতার করে। বর্তমানে কেরানীগঞ্জ কারাগার হাজতে রয়েছে তারা।

 

বিডি/সি/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর