ফুচকার নাম শুনলে মুখে পানি আসে না এমন মানুষ মেলা ভার। ফুচকার প্রতি নারীর বিশেষ ধরনের দূর্বলতা রয়েছে।
ফুচকা অনেক সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হয়। তাই স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই ইচ্ছে
থাকার পরও এড়িয়ে চলেন ফুচকা। যারা ডায়েট করেন, তারা তো ফুচকার আশে-পাশেও যান না। ওজন
বাড়ার ভয়ে রসনাকে নিয়ন্ত্রণে রাখেন তারা।
কিন্তু তাদের জন্য রয়েছে সুখবর। ফুচকা শুধু মুখের স্বাদই বাড়ায় না, বরং
ওজন ঝরাতেও সাহায্য করে। শুনতে অবাক লাগলেও এমনই দাবি করছেন একদল চিকিৎসক।
ফুচকায় প্রচুর মশলা ব্যবহার করা হলোও এতে তেল কম ব্যবহার করা হয়। সেই সাথে
থাকে শসা, টমেটো, ধনিয়া পাতা, লেবু ও তেতুলের টক, যার সবই ওজন কমাতে সহায়ক। আসুন জেনে
নেওয়া যাক ফুচকা খাওয়ার উপকারিতা কী কী-
ভারতীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট দি হেল্থ সাইটের বলছে, মোটা ব্যক্তিদের
জন্য ফুচকা একটি চমৎকার বিকল্প। ডায়েটে থাকাকালীন ও দ্রুত ওজন ঝরাতে চাইলে ফুচকা খেতে
পারেন। যেহেতু ফুচকায় ব্যবহৃ্ত টকে মজাদার মশলা থাকে তাই এটি খিদে কমাতে সাহায্য করে।
যা ওজন হ্রাসের জন্য সাহায্য করে। এতে থাকা শসা ও টক ক্যালোরি ঝরাতেও সাহায্য করে।
এছাড়া ফুচকার টকে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার উপকরণ ব্যবহার করায় এটি মুখের
ঘা বা আলসারের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আবার বমি বমি ভাব দূর করতে ফুচকা খুব কার্যকর।
খিটখিটে বা মেজাজের পরিবর্তনে ফুচকা খেলে তাৎক্ষণিক আরাম পাবেন।
তবে ডায়েটিশিয়ানরা ওজন কমানোর জন্য ঘরে বানানো ফুচকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
বাড়িতে ফুচকা বানানোর একটা সুবিধা হল এটি কম তেলে ভাজা যায়। অতিরিক্ত উপকারের জন্য
ফুচকার সঙ্গে জিরা বা জিরার পানিও ব্যবহার করা যেতে পারে।
দি হেল্থ সাইটের মতে, ফুচকার টক ঘরে তৈরি করা হলে এটি যেমন স্বাস্থ্যসম্মত
হয় তেমনি খেতেও সুস্বাদু হয়। যা হজমশক্তি বাড়ায়। এছাড়া ফুচকার টকে পুদিনা, জিরা যুক্ত
করলে তা প্রদাহ এবং মাসিকের যন্ত্রণাও দূর করবে। তবে ফুচকার সঙ্গে মিষ্টি টক বা চাটনি
খাওয়া চলবে না কারণ এটি উল্টো ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে