মসজিদের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল, মুসল্লীদের মধ্যে ক্ষোভ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
২০ অগাস্ট ২০২৩

পঞ্চগড় সদর উপজেলার গলেহাপাড়া দক্ষিণ জামে মসজিদের জায়গা অবৈধভাবে ভোগদখল করা হয়েছে। এ ঘটনায় মুসল্লীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রতিকার চেয়ে কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেছেন মসজিদ পরিচালনা কমিটি।

মসজিদ পরিচালনা কমিটি বলছেন, মসজিদের জমিদাতা আ,গণির ছেলে মতিয়ার রহমান অবৈধভাবে ভোগদখল করছেন জায়গাটি। ভোগদখল ছেড়ে দিতে বললে মসজিদের মুসল্লীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন তিন। মতিয়ার রহমান ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক।

সরেজমিনে জানা যায়, মসজিদটির নামে ৬ শতাংশ জমি রেকর্ড করা। যেখানে ১৮৬০ সাল থেকে স্থানীয়রা নামায পড়ে আসছেন। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় প্রায় ৩৮ বছর আগে এলাকার আব্দুল গণি ১৪ শতক জমি মসজিদের নামে দান করেন। কিন্তু ধীরে ধীরে মসজিদের জায়গা মতিয়ার রহমান দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেন। এলাকার মুসল্লীরা জমিটি ফেরত চাইলে ওই ১৪ শতক জমির একটা অংশ ফেরত চান। এতে বিপাকে পড়েছেন তারা।

স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুর রহমান,তোফাজ্জল হোসেন,আব্দুস সালাম,তরিকুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই মসজিদে নামায আদায় করি। এখন নামায পড়তে গেলে মতিয়ার রহমান গালিগালাজ করে।

মসজিদ কমিটির সভাপতি হকিকুল ইসলাম বলেন, মসজিদের রেকর্ডীয় জমিতে বাড়ি করেছে মতিয়ার রহমান। এলাকাবাসী ওই জমিতে গেলে দানকৃত মসজিদের জমি পুনরায় নিজের দাবি করেন তিন।

অভিযুক্ত শিক্ষক মতিয়ার রহমান বলেন, যখন জমিতে ঘর নির্মাণের কাজ চলছিল তখন কেউ কিছু জানায়নি।এখন বলছে জমিটি মসজিদের। আর ১৪ শতক জমি মসজিদের নামে দান করা হয়েছে। সেটাতে শুধু আমরা নামায পড়বো, মুসল্লীদের জন্য না।

কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। জামাতবাসী লিখিত কোন অভিযোগ করেননি।

 

বিডি/ সম্রাট হোসাইন/সি/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর