নীলফামারীতে স্কুলরুমে চলছে ব্যাংকিং কার্যক্রম

নীলফামারী প্রতিনিধি
২২ অগাস্ট ২০২৩

নীলফামারতে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক যাদুর হাট শাখার কার্যক্রম চলছে বাবড়ীঝাড় দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি রুমে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ওদিকে যাদুর হাট বাজার থেকে তড়িঘরি করে বিদ্যালয়ের রুমে ব্যাংকিং কার্যক্রম স্থানান্তর করায় ব্যাংকটির স্থানীয় গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এজন্য ব্যাংকটির যাদুর হাট শাখার কিছু অসাধু কর্মচারী কর্মকর্তাকে দূষছেন তারা।

বাবরীঝাড় দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জহির উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত রুম থাকায় তিন বছর চুক্তিতে একটি রুম ব্যাংকটিকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, যাদুরহাট শাখায় ব্যাংকটিতে হাজার হাজার গ্রাহক লেনদেন করতেন স্বচ্ছতার মধ্যে দিয়ে। কিন্তু  চক্রান্ত করে এক রাতেই ব্যাংকটি নিয়ে যাওয়া হয় বাবরীঝাড় স্কুলে।

চাপড়া সরমজানি ইউনিয়নের নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল্লাহ মিয়া বলেন, কিছু অসাধু কর্মচারী কর্মকর্তারা ব্যাংকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে গেছেন। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কিভাবে ব্যাংক চলে? উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে সরেজমিনে তদন্ত করার দাবি তার ।

একই ইউনিয়নের নং ওয়ার্ড সদস্য মাহবুর রহমান  বলেন, ব্যাংকটি হঠাৎ করে অন্যত্রে নিয়ে গেলো। আমরা স্থানীয় লোক কেউ জানি না। ব্যাংকের গ্রাহক প্রতিবন্ধী শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বাড়ি বাজারের পাশে। আমাকে  মাসিক কিস্তি ব্যাংকে এসে জমা দিতে হয়। ব্যাংকটি আমার  বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দুরে বাবরীঝাড় দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী মানুষ হিসেবে কিভাবে এতদুরে গিয়ে কিস্তি দেব?

বাবরীঝাড় দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জহির উদ্দিন আরও বলেন, মাসিক ৮হাজার টাকা ভাড়ায় রুমটি ব্যাংকটিকে দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে বিদ্যুৎ বিল এক হাজার টাকা দিতে হয় তাদের। সে টাকা বিদ্যালয়ের একাউন্টে জমা হয়।

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক যাদুর হাট শাখার ম্যানেজার মাইদুল ইসলাম বিষয়টি এড়িয়ে বলেন, আপনারা উদ্ধর্তন কর্মকর্তার সাথে কথা বলেন।  নীলফামারী রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের জোনাল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন বলেন, যাদুরহাটে টিনসেট ঘর হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পেয়ে বাবড়ীঝাড়ে আনা হয়েছে। তবে যাদুরহাট শাখা নামেই চলবে। স্কুল কমিটি ভাড়া দিয়েছে বলে সেখানে কার্যক্রম চলছে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ে কোন ব্যাংক চলতে পারে না। বিষয়টি আমার জানা নেই। খোজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

বিডি/রাশেদুল ইসলাম/সি/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর