ধুমধামের সঙ্গে চলছিল বিয়ের আয়োজন, বাড়িভর্তি লোকজনের মুখে বিয়ের গীত। কিন্তু অমতের কারণে কেবল মন খারাপ ছিল কনের। এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ সেই বাড়িতে উপস্থিত লোকজন যে যার মতো পালিয়ে যেতে থাকে। বন্ধ হয়ে যায় বিয়ে। জরিমানা গুনতে হয় কনের নানীকে।
কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় বিয়েটি বন্ধ করে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায়। তার আগে বাল্য বিয়ের অভিযোগ পেয়ে বৃষ্টি ও কাদাজল মাড়িয়ে বিয়েবাড়িতে হাজির হন তিনি। প্রশাসনের লোকজন আসতে দেখেই বিয়েবাড়ির লোকজন পালায়।
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের বাবলাতলা গ্রামে বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরের দিকে ঘটে এ ঘটনা।
কনে স্থানীয় একটি স্কুলে পড়াশোনা করে। বিয়ে পন্ড হয়ে যাওয়ায় সে খুব খুশি। জানায়, নিজের মতের বিরুদ্ধে পরিবারের লোকজন জোর করে বিয়ে দিচ্ছিলেন তাকে। বিয়ে বন্ধ হওয়ায় আবার বিদ্যালয়ে যেতে পারবে সে। এজন্য উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যাবাদ জানিয়েছে সে।
নারী উদ্যোক্তা বেলী আক্তার জানান, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাল্যবিয়ের বিষয়টি তিনি জানতে পারেন। তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিয়েটি বন্ধ করা হয়েছে। অপরাধ বিবেচনায় ওই ছাত্রীর নানীকে জরিমানা করা হয়, বাল্যবিয়ের সঙ্গে না জড়ানোর বিষয়ে মুচলেকা নেওয়া হয়। প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর ওই ছাত্রীকে বিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া তার পরিবারকে। অন্যরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বিডি/সাজেদুর রহমান সাজ্জাদ/সি/এমকে