কুমারখালী (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর লাহিনী-সান্দিয়ারা সড়কে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন, অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কটির ১৫ কিলোমিটার এখন এই পথে চলাচলকারীদের কাছে ‘গলার কাঁটা’। ২০ মিনিটের পথ অতিক্রম করতে সময় লাগছে এক ঘণ্টা।
কুমারখালীর যদুবয়রা, চাপড়া, চাঁদপুর, পান্টি, বাগুলাট এবং খোকসা উপজেলার দক্ষিণপাড়ের ২টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের ক্ষেত্রে সড়কটি জেলা সদর ও রাজধানী ঢাকায় যোগাযোগের একমাত্র পথ। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলাবাসীও নিত্যপ্রয়োজনে এই সড়ক ব্যবহার করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের এই ১৫ কিলোমিটার অংশে কার্পেটিং আর ইট-খোয়া উঠে গেছে। কোথাও কোথাও পাকাকরণের অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়ায় যাচ্ছে না। যাতায়াতকালে মাত্রাতিরিক্ত ধুলায় নাকাল হচ্ছেন মানুষ। অসহ্য ঝাঁকুনিতে কাহিল হচ্ছেন বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীরা, বিশেষত নারী আর শিশুরা। প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে, এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চালক-মালিকরা। অটোরিকশা চালক জানবার আলী বলেন, অনেক দিন ধরেই সড়কের এই অবস্থা, ৪/৫ বছর হলো বেশি খারাপ হয়ে গেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছি। সংস্কার না হলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নেবে বলে আশঙ্কা করছেন ভুক্তভোগীরা।
অন্যদিকে বর্তমানে শুষ্ক মৌসুমে সড়কের দুই পাশের বাসিন্দারা পড়েছেন রীতিমতো বেকায়দায়। সড়কের ধুলা আর ইটের সুরকি বাতাসে উড়ে বাড়ি-ঘরে পড়ছে। এতে আসবাবপত্র আর কাপড়চোপড় নোংরা হয়ে যাচ্ছে তাদের।
কুমারখালী উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুব আলম বলেন, জিকে ক্যানেল সংলগ্ন রাস্তাটি ১৫ কিঃ পর্যন্ত কার্পেটিং এবং ৭.৩২ মিটার চওড়া করার জন্য মাটির কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার কাজটি করতে পারেননি। ফলে নতুন করে দরপত্র আহবান করা হবে। টেন্ডার শেষ করে সড়কটির সংস্কার শুরু হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা। কুষ্টিয়া এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুর রহমান জানান, ১৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটি সংস্কারে গত বছর দরপত্র আহবান করা হয়েছিল। ঠিকাদার কাজ করেননি।
এমএস/এমকে