ফল
শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয় ও পুষ্টিকর খাবার।
তবে ফলের পুষ্টি ঠিকঠাক পেতে হলে খেতে হবে সঠিক নিয়মে মেনে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভুল উপায়ে ফল খেলে উপকারের
তুলনায় ক্ষতিটাই বেশি হতে পারে।
বেশিরভাগ
ফলেই প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে যা ডিটক্সিফিকেশনের জন্য দুর্দান্ত।
তাই ফল খাওয়ার ঠিক
পরেই পানি খেলে হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। এতে অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শরীর অতিরিক্ত পানি পেলে কিডনি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। এতে বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। ফল খাওয়ার অন্তত
এক ঘণ্টা পর পানি পান
করুন।
আবার
দীর্ঘ সময় ধরে কাটা ফল খাওয়া একেবারেই
অনুচিত। কাটা ফল দীর্ঘ সময়ের
জন্য সংরক্ষণ করলে অক্সিডেশনের কারণে পুষ্টি উপাদান কমে যায়।
ফল
রস করে না খেয়ে গোটা
ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। ফল রস করলে
এটি প্রয়োজনীয় অনেক পুষ্টি উপাদান এবং ফাইবার হারিয়ে ফেলে।তাই আস্ত ফল এবং রস
করে খাওয়ার মধ্যে একটি স্বাস্থ্যকর ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।
রাতে
ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ফলে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা হরমোনের নিঃসরণ ঘটিয়ে শরীরে শক্তির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই রাতে ফল খেলে ঘুমের
ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
যেসব
ফলের খোসা পাতলা সেগুলো খসা সহ খাওয়ার চেষ্টা
করুন। যেমন আপেলের খোসায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন
সি থাকে। চেষ্টা করুন খোসাসহ ফল খাওয়ার জন্য।
ফল
অন্য খাবারের সঙ্গে না মিলিয়ে আলাদা
খাওয়াই ভালো। কারণ অন্যান্য খাবারের সঙ্গে ফল খেলে তা
হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
ঠান্ডা
ফল না খেয়ে স্বাভাবিক
তাপমাত্রার ফল খান। কারণ
ঠান্ডা খাবার হজম করার জন্য শরীরের অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়। এতে বদহজম বা অ্যাসিডিটির মতো
সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তথ্য:
এনডিটি