৬০ কৃষককে আধুনিক পদ্ধতিতে উন্নত জাতের গম ও ভুট্টার উৎপাদন ও সম্প্রসারণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে
নওগাঁর ঠাঠা বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে খ্যাত পোরশা, সাপাহার ও নিয়ামতপুর উপজেলায় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রলম্বিত হচ্ছে খরা। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকের চাষ, সেচ ও সার খরচ কমাতে সংরক্ষণশীল (বেড প্ল্যান্টিং) কৃষি পদ্ধতিতে গম ও ভুট্টা চাষ করার উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ।
এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে এ তিন উপজেলার ৬০জন কৃষককে আধুনিক পদ্ধতিতে উন্নত জাতের গম ও ভুট্টার উৎপাদন ও সম্প্রসারণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয়ের হল রুমে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর , রাজশাহী অঞ্চলে অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ শামছুল ওয়াদুদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
জানা গেছে, বেড পদ্ধতিতে সরাসরি জমি প্রস্তুত, বীজ বপন, মই দেওয়া ও বেড তৈরির কাজ এক চাষেই হয়। স্বাভাবিক পদ্ধতির মতো চাষ-মই দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এ চাষ পদ্ধতিতে সার-বীজ সঠিক গভীরতায় পড়ায় বীজের অঙ্কুরোদগম ভালো হয়। দুই লাইনের মধ্যবর্তী স্থানে জমিতে চাষ পড়ে না। ফলে নাড়া স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে। চাষের সময় একই সাথে বেড ও নালা তৈরি হয়। বেডের উপর ফসল ও নালায় পানি দেওয়া হয়। এতে সেচ কম লাগে। কম পানিতে গম-ভুট্টার বৃদ্ধি এবং ফলন ভালো হয়। বেডের সাথে নালা থাকায় আগাছা দমন সহজ হয়। পর্যাপ্ত আলো বাতাস চলাচল করায় ইঁদুরের আক্রমণ হয় না। একই বেড না ভেঙে বিভিন্ন ফসল চাষ করা যায়।
কৃষি অধিদফতরের হিসাবে, ভুট্টা চাষের প্রচলিত পদ্ধতিতে আলাদাভাবে জমি চাষ, বীজ বপনে শ্রমিক, নালা তৈরি- সব মিলিয়ে হেক্টরে কৃষকের খরচ হয় ৩৮ হাজার টাকা। কিন্তু বেড পদ্ধতিতে একটি চাষেই বেড তৈরি, বীজ বপন ও চাষ হয়, তাই হেক্টর প্রতি সাকুল্যে খরচ হয় ৪ হাজার টাকা।
প্রচলিত চাষে প্রতি হেক্টরে সেচের জন্য ৪৫ লিটার জ্বালানি পুড়ে থাকে। কিন্তু বেড পদ্ধতি খরচ হয় ১৭ লিটার জ্বালানি।
বিডি/সি/এমকে