নীলফামারীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৫০ বাসিন্দা পানিবন্দি

নীলফামারী প্রতিনিধি
২৬ অগাস্ট ২০২৩

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানীর ছাতুনামা কেল্লাপাড়া গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৫০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তি বাড়ছে তাদের। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঘরগুলো তৈরির সময় জায়গা আরেকটু উচু করলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।

 সরেজমিনে দেখা গেছে, আশ্রয়ন প্রকল্পে যাওয়ার প্রধান রাস্তাটি কয়েকদিন আগের বন্যায় কয়েক স্থানে ভেঙে গেছে। রাস্তায় কোথাও একহাটু পানি, কোথাও আবার তার চেয়ে বেশি। আশ্রয়ন প্রকল্পের গলিতে পানি প্রায় একহাটু সমান।  ভেতরের বিভিন্ন স্থানে গর্ত রয়েছে।

বাহার আলী জানান, বারান্দা পর্যন্ত পানি উঠে। পাশের যে স্কুল ঘর আছে, সেখানে একহাটু পানি হয়। ফুলোরা বেগম জানান, পানি যখন উঠে তখন খাটের ওপরে উঠি থাকি। বন্যা আইলে খাওয়া দাওয়ার কথা বাদ দেই। একটা সিমেন্টের চুলা আছে সেইটা খাটের ওপরে তুলি রান্না করি।

মশিয়ার রহমান জানান, বারান্দা রুমেও পানি প্রবেশ করে। একদিন রাত ৩টায় ঘুম থেকে উঠে দেখি জুতা ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।

এদিকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘরগুলো তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু বসবাসের জন্য উপযোগী করা হয়নি ঘর, ব্যবহার উপযোগী করা হয়নি ঘরের উঠান ও চলাচলে রাস্তা। ঘর পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যে ঘরের দেওয়ালে ধরেছে ফাটল।

বাসিন্দাদের মধ্যে জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী আরজিনা বেগম আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, দেওয়াল ফাইটা যায়, এইজ্যা আবার আইসা ঠিক কইরা দিয়া যায়। দুই তিনবার কইরা দিয়া যায়। এভাবে বাচ্চা-কাচ্চা নিয়া বাস ভয়ের ব্যাপার। ওইটা ভালো না কইরা দিলেন তরী বাচ্চা কাচ্চা নিয়া থাকার সমস্যা।

ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হকের মুঠোফোনে একাধিবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি। ডিমলা উপজেলা ত্রাণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মেজবাউর রহমান জানান, বিগত বন্যায় রাস্তাটি ভেঙে গেছে। কাবিখা প্রকল্পে রাস্তাটি ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।  ফাটলে বিষয় না দেখে বুঝতে পারবো না।  ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। খোঁজ খবর নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবো।

 

বিডি/রাশেদুল ইসলাম/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর