উজানের ঢল আর বর্ষণে দ্রুত বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি। ফলে নদ-নদীর তীরবর্তী কুড়িগ্রামের উলিপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে আমনের ক্ষেত। হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। ইতোমধ্যে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। প্লাবিত কিছু এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোভন রাংসা।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, তিস্তা নদীর পানি বেড়ে শনিবার (২৬আগস্ট) দুপুর ১২ টায় কাউনিয়া পয়েন্ট বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। আর ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৬৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
উপজেলার তিস্তা অববাহিকার দলদলিয়া থেতরাই, গুনাইগাছ, বজরা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার বেগমগঞ্জ, সাহেবের আলগা, হাতিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে।
থেতরাই ইউনিয়নের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, তিস্তার পানি হু হু করে বাড়ছে। জুয়ান সাতরা চর, গোড়াইপিয়ারসহ আশেপাশের এলাকাগুলোতে পানি উঠেছে। আমন ধানের ক্ষেত ডুবে গেছে।বাড়তে পারে নদী ভাঙন।
সম্তোষ অভিরামের নুর ইসলাম বলেন, নদীর তীরের সব ক্ষেত পানির নিচে। পানি দ্রুত না সরলে ফসলের ক্ষতি হবে। বাড়ির চারপাশে পানি থৈথৈ করছে। বাচ্চাদের সাবধানে রাখছি।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভারতের আসাম ও অরুণাচলে ভারী বৃষ্টি ও স্থানীয় বৃষ্টিপাতে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। কয়েকদিনের মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের পানিও বিপৎসীমায় পৌঁছাতে পারে। ফলে জেলার সদরের কিছু অংশ, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে স্বল্পমেয়াদী বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে। পানি বিপৎসীমায় পৌঁছালেও খুব বড় বন্যার আশঙ্কা নেই।
বিডি/রোকন মিয়া/সি/এমকে