চাটমোহরে নদী-বিলে নিষিদ্ধ জালে ধরা হচ্ছে রুই-কাতলা-বোয়ালের পোনা

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
২৭ অগাস্ট ২০২৩

আমলযোগ্য অপরাধ হলেও পাবনার চাটমোহর উপজেলার নদী ও বিলে প্রকাশ্যে কার্প জাতীয় মাছ রুই-কাতলা ও বোয়াল মাছের পোনা ধরা হচ্ছে। এসব পোনা ধরা হচ্ছে নিষিদ্ধ জাল কারেন্ট, বাদাই ও চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে। আর এ পোনা প্রকাশ্যেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে হাট-বাজারে।

বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বে থাকা মৎস্য অধিদফতর নদী-বিল থেকে  কারেন্ট ও চায়না দুয়ারি জাল আটক করছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশে আটক করা জাল পুড়িয়ে ধ্বংসও করছে। কিন্তু থেমে নেই পোনা শিকার। পোনা হলেও নদী-বিলের মাছের কদর থাকায়, চড়া দাম পাওয়ায় অপরাধ জানার পরও পোনা  শিকার থেকে বিরত থাকছে না জেলেরা।

সমাজ সচেতন ব্যক্তিরা মনে করছেন, কেবল জাল পুড়িয়ে এ পোনা ধরা বন্ধ করা সম্ভব নয়। হাটবাজারে পোনা বিক্রি বন্ধের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ করে মধ্যস্বত্বভোগী মাছের ব্যাপারী- যারা এ পোনা কিনে ভোক্তাদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করছে, তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ সংক্রান্ত আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে সংশ্লিষ্টদের।


স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এমনিতেই ফি বছরগুলোর মতো এবার এখনো বর্ষা হয়নি  এ উপজেলায়। কয়েক দফায় পানি বৃদ্ধি ও কমার খেলা চলার মধ্যে রুই, কাতল, বোয়াল, কালবাউসের পোনার আধিক্য চোখে পড়ছে। দেখা যাচ্ছে ইলিশের জাটকাও। রক্ষা করতে পারলেই এসব পোনা পরিণত মাছে রূপান্তরিত হতে খুব বেশি সময় লাগবে না। কিন্তু সে সুযোগ পাচ্ছে কোথায়?

উপজেলার হান্ডিয়াল,নিমাইচড়া,ছাইকোলা এলাকার নদী ও বিলের পাশাপাশি ডিকশি বিল, খলিশাগাড়ি বিলসহ অন্যান্য বিলে পোনা নিধন হচ্ছে। রুই-কাতল- কালবাউসের পোনার একটা অংশের আকার ৯ ইঞ্চির কম। এসব মাছের পোনা ছাড়াও চায়না দুয়ারি ও বাদাই জালে অন্যান্য দেশি মাছের রেনু ধরা পড়ছে। সেগুলোও প্রকাশ্যেই কেনাবেচা হচ্ছে হাটবাজারে।

প্রাপ্ত তথ্য বলছে, রুই-কাতলের পোনা ভোক্তা পর্যায়ে চাহিদার ভিত্তিতে ২শ থেকে আড়াইশ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একই দাম বোয়ালের ক্ষেত্রেও, তবে আকার পোয়া ওজনের কাছাকাছি  হলে বিক্রি হচ্ছ ৩শ টাকার উপরের দরে।  

সম্প্রতি ২শ পিস চায়না দুয়ারি জাল ও ১ লাখ মিটার কারেন্ট জাল আটক করে মৎস অধিদপ্তর। এর আগেও চলতি বছরে উল্লেখযোগ্য কারেন্ট ও চায়না দুয়ারি জাল আটক করে তারা। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশে সেসব জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আ. মতিন সম্প্রতি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ১৯৫০ সালের মৎস সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ কারেন্ট ও বাদাই জাল জব্দ ও পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকেবে।

 

বিডি/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর