প্রতিটি মানুষের জীবনে মৃত্যু অবধারিত। মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই শরীরে
পচন শুরু হয়। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ পর্যায়ক্রমে পচতে শুরু করে।
মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পরও এমন অনেক অঙ্গ আছে, যেগুলো কাজ করে! এ কারণেই মৃত্যুর
পর মানুষের অনেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অন্য রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা যায়।
মানুষ মারা গেলে হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের
সরবরাহও বন্ধ হয়ে যায়। একইভাবে, বাকি অঙ্গগুলো ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।
আর তবে কিছু অঙ্গ দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকে। আর সেটিকে কাজে লাগানো হয় চিকিৎসা
বিজ্ঞানে। যারা তাদের অঙ্গ দান করেন, তাদের মৃত্যুর পর শরীরের অনেক অঙ্গ অন্য রোগীদের দেওয়া হয়। বেশিরভাগ
ক্ষেত্রেই চোখ প্রতিস্থাপন করা হয়। মৃত্যুর পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চোখ অপসারণ করা প্রয়োজন।
এরপর তা আই ব্যাঙ্কে রাখা হয় এবং রোগীদের দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়। মৃত্যুর পর মানব
চোখের কর্নিয়া ৬ থেকে ৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়
চোখ ছাড়াও কিডনি, হার্ট ও লিভারও প্রতিস্থাপন করা হয়। এই অঙ্গের কোষগুলো
মৃত্যুর পরেও কাজ করতে থাকে, তাই মৃত্যুর পরের কয়েক ঘণ্টায় সেগুলো বের করে অন্য রোগীকে দেওয়া হয়। মৃত্যুর পরবর্তী
৪ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে হৃদপিণ্ড অন্য রোগীর দেহে স্থানান্তরিত হয়। একইভাবে, কিডনি
৭২ ঘণ্টা এবং লিভার ৮ থেকে ১২ ঘন্টা ভালো থাকে।
এছাড়া ত্বক ও হাড়কে প্রায় ৫ বছর বাঁচিয়ে রাখা যায়। আর হৃৎপিণ্ডের ভালভগুলো
১০ বছর ধরে ভালো রাখা যায়।