দরজায় কড়া নাড়ছে জাতীয় নির্বাচন। দ্বাদশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজপথ
উতপ্ত হয়ে উঠেছে। বিএনপি-জামায়াত সমমনা দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের
দাবিতে আন্দোলন করছে। এ পরিস্থিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল
হোসেন। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য নির্বাচনকালীন নির্দলীয়
নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ ৬ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে
জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা জানান।
কমাল হোসেন বলেন, রাজনৈতিক টানাপোড়েন নিরসনে এ সমঝোতার ডাক। সংকট নিরসনে
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার সংলাপের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান, একইসঙ্গে
জাতীয় ঐক্যের ডাকও দেন তিনি।
বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা
অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিও জানান ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচন
জাতির সামনে একটি উত্তরণের উপায় হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে বলে গণফোরাম বিশ্বাস করে।
পথ ও মত হিসেবে গণতন্ত্রই আমাদের শেষ কথা, যেখানে ‘সকল ক্ষমতার মালিক হবে জনগণ’। যেখানে
অস্ত্র, অর্থ ও পেশিশক্তি নির্ভর রুম রাজনীতির বিপরীতে জনগণের ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক শক্তির
বিকাশ ঘটবে, যেখানে নেতিবাচক রাজনীতির পরিবর্তে ইতিবাচক, সৃজনশীল ও জাতীয় সমঝোতার
রাজনীতি নিশ্চিত হবে। আমরা সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে
চাই। আমরা এমন জাতীয় সংসদ চাই, যা জনগণের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবে, এমন নির্বাহী বিভাগ
চাই যারা জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করবে, এমন বিচার বিভাগ চাই যারা ন্যায়বিচার নিশ্চিত
করবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘সব সমস্যা ছাপিয়ে জাতির জন্য আজ সবচেয়ে বড় সংকট হয়ে
দাঁড়িয়েছে গণতন্ত্রহীনতা। ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন হয়েছে। ২০১৮ সালে
দিনের ভোট রাতে হয়েছে। এ অবস্থায় আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জাতি চরম উদ্বেগ ও
উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে। বিরোধী দলগুলোর উপর সরকারের সীমাহীন দমন পীড়নের ফলে দেশ আজ
চরম সংকটে পতিত হয়েছে।
আরআই