‘ভূমি সংস্কার আইন, ২০২৩’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়েছে, ব্যক্তি মালিকানায় ৬০ বিঘার বেশি কৃষি জমি ব্যক্তি মালিকানায় রাখা যাবে
না। এ আইন ভঙ্গ করলে এক লাখ টাকা জরিমানা বা এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের বিধান রাখা
হয়েছে।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন আইনটির বিস্তারিত
তুলে ধরেন। তিনি জানান, “সামরিক শাসনামলের আইনগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী বাতিল করে নতুন
আইন করার নির্দেশনা ছিলো। সে অনুযায়ী আমাদের ল্যান্ড রিফর্ম অধ্যাদেশ ১৯৮৪-কে সংশোধন
করে নতুন করে ‘ভূমি সংস্কার আইনে’র খসড়া ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে উপস্থাপন করা হয়।”
তিনি বলেন, ‘এ আইনে আগের অধ্যাদেশে যে ধারাগুলো ছিল, সে ধারা পরিবর্তন করে
বা কয়েকটি জায়গায় সামান্য আপডেট করেছে। যেমন আগে ছিল ৬০ বিঘার বেশি কেউ কৃষিজমির
মালিক থাকতে পারবে না। এখানে বলা হয়েছে যে, বিশেষ ক্ষেত্রে এটি শিথিলযোগ্য, সে বিষয়গুলো
চিহ্নিত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এবার শাস্তির বিষয়টাও নতুন করে যোগ হয়েছে। আগের আইনে ছিল ভূমি
ব্যবস্থাপনার কোনো আইন যদি কেউ ভঙ করেন, তখন দুই হাজার টাকা জরিমানা ছিল। নতুন খসড়া
আইনে আইন ভঙ করলে এক লাখ টাকা বা এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিতের
বিষয়টি যোগ হয়েছে।’
কিন্তু ৬০ বিঘার চেয়ে বেশি সম্পত্তি যাদের রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে কি হবে
এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘যদি এরকম কেউ থাকে এবং যদি কেউ সে আইনের
আওতায় মামলা করেন, তাহলে নতুন আইনে যে শাস্তির বিধান আছে তা প্রযোজ্য হবে।’
তাদের চিহ্নিত কীভাবে করা হবে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আইনে
তো সে বিষয় বলা থাকে না। আইনে বলা আছে, যদি কেউ ৬০ বিঘার বেশি জমি নতুন করে কেনেন,
তখন ওই অংশটা সরকারের নজরে এলে সেটা নিয়ে নিতে পারবে। আইনে যে ধারা সংযোজন করা হয়েছে,
সেটা হলো এই যে আপনার ৬০ এর অধিক, আপনি নতুন কোনো মালিকানা নিতে পারবেন না। বলা হয়নি
৬০ বিঘার বেশি থাকলে আপনি ছেড়ে দেবেন। যদি আপনার ৬০ বিঘা কৃষি জমি থাকে, তাহলে নতুন
করে আর মালিকানা নিতে পারবেন না। এটা আপনি উত্তরাধিকার সূত্রে হোক বা নিজের কেনা হোক।
৬০ বিঘার বেশি আপনি আর মালিকানা নিতে পারবেন না।’
আরআই