শিশু বুদ্ধিমান কি না বুঝবেন যেভাবে
সবাই চায় তার সন্তান হোক বুদ্ধিমান। ছোটবেলা থেকেই শিশুর কিছু আচরণ ও বৈশিষ্ট্য
দেখে বোঝা যায় সে বুদ্ধিমান হবে কিনা বা তার বুদ্ধিদীপ্তি কেমন হবে? বাবা-মায়ের সন্তানের
এ ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি। কারণ আপনার সন্তান যদি জিনিয়াস হয়, তবে ছোটবেলা
থেকেই বিভিন্ন ভাবে তার প্রকাশ ঘটবে।
১। সন্তান যদি গল্প শোনার সময় শব্দ ও বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট হয়। কিছু কিছু
বাচ্চা আবার অভিভাবকদের মৌখিক নির্দেশ সহজে পালন করতে বা বুঝতে পারে।
২। বুদ্ধিমান বাচ্চাদের মধ্যে প্রবল আবেগবোধ থাকে। তারা ভালোবাসা প্রকাশ
করতে চায় এবং জানে।
৩। বুদ্ধিমান শিশু কৌতুহলী হয়ে থাকে। তারা সব বিষয় নিয়ে জানার আগ্রহ দেখায়।
খেলনা খুটিয়ে খুটিয়ে পর্যবেক্ষণ করে। নতুন যে কোনো বিষয়ে উৎসাহী থাকে।
৪। তবে বুদ্ধিমান সন্তানরা অভিভাবকদের সঙ্গে আই কনট্যাক্ট করে, মাথা এদিক
ওদিক ঘোরায়, শব্দ করে প্রতিক্রিয়া জানায়।
৫। এসব শিশুদের হিউমার সেন্স বা কৌতুক বোধ ভালো থাকে। তারা মজার কিছু বুঝতে
ও করতে পছন্দ করে। নানা কর্মকাণ্ড করে বাবা-মাকে হাসাতে চাওয়ার প্রবণতা তাদের মধ্যে
লক্ষ্য করা যায়।
৬। জেদ বাচ্চার বুদ্ধিদীপ্তির পরিচয় দেয়। নিজের কি করতে চায় তা তারা সহজেই
সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তারা যা চায় তা অর্জন করেই থাকে। আবার নিজের কোনও কথায় সকলের
সহমত আদায় করে নেওয়াও বুদ্ধিমান বাচ্চার লক্ষণ।
৭। ভালো স্মৃতিশক্তিও বাচ্চাদের প্রতিভার অন্যতম লক্ষণ। এটিও তাদের বুদ্ধিমত্তার
মাপকাঠি। আপনার সন্তান কোনও কিছু দেখলে যদি তা দীর্ঘদিন পরও মনে রাখে, তা হলে বুঝতে
হবে সে জিনিয়াস।
৮। এ ধরনের শিশুরা কল্পনাপ্রবণ হয়ে থাকে। আপনার সন্তান নিজে থেকেই নানা
কাহিনি গড়তে পারে? কোনও কাল্পনিক বন্ধুর সঙ্গে খেলাধুলো করে? বয়সের তুলনায় কঠিন কোনও
পরিস্থিতি তৈরি করে? এমন কিছু হলে ভাববেন না যে সে মিথ্যে কথা বানিয়ে বলছে। বরং বুঝতে
হবে যে আপনার সন্তান কল্পনাপ্রবণ। কল্পনাপ্রবণতা থাকা বাচ্চার মানসিক বিকাশের জন্য
অত্যন্ত জরুরি।
তবে সব শিশু এক রকম নয়। চারপাশের পরিবেশ, জেনেটিক, খাদ্য গ্রহণ ও বাবা-মায়ের
আচরণ নানা বিষয়ের উপর এসব লক্ষণ প্রকাশ নির্ভর করে। সব শিশুই নিজ নিজ জায়গায় অসাধারণ।