নিজের বিরুদ্ধে স্টেশন বুকিং সহকারির কক্ষ হতে ৭৩ হাজার টাকা চুরির অপবাদ দেওয়া, টিকিট কালোবাজারিসহ বিভিন্ন বিষয়ে নালিশ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নীলফামারীর ডোমার রেলস্টেশনের অব্যাহতি পাওয়া কুলির সর্দার মতিবুল ইসলাম।
বুধবার (৩০ আগস্ট) সকালে ডোমার শহরের বাটার মোড়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। গত ১৮ আগস্ট রেলওয়ের বিভাগীয় ম্যানেজার পাকশীসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে মতিবুলের বিষয়ে নালিশ করেছেন ডোমার রেলস্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে মতিবুল ইসলাম জানান, ২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এ স্টেশনে সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে কুলির সর্দারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার বাবা আব্দুল লতিফও এ স্টেশনে দীর্ঘদিন কুলির সর্দার ছিলেন। তার মৃত্যুর পর তৎকালীন স্টেশন মাস্টার তাকে কুলির সর্দার হিসেবে মনোনীত করেন। কিন্তু গত বছর স্টেশনে সামান্য ভুল বুঝাবুঝির পরিপ্রেক্ষিতে ডি.সি.ও পাকশী মৌখিকভাবে তাকে কাজ করতে নিষেধ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তাকে নিষেধ করার কিছুদিন পর সামছুদ্দিন নামের এক কুলিকে কুলির সর্দার ঘোষনা করেন বর্তমান রেলস্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন। এরপরই ৭৩ হাজার টাকা চুরির অপবাদসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে নালিশ করেন তিনি।
মতিবুল ইসলাম বলেন, চুরির অপবাদসহ আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তোলায় আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের সম্মানহানী হয়েছে। প্রতিনিয়ত নানা রকম প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হচ্ছে আমাদের। সেই সঙ্গে কাজ না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছি।
ডোমার স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, মতিবুলের ব্যাপারে পাকশী অফিসে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এটার তদন্ত চলছে।
বিডি/রাশেদুল ইসলাম/সি/এমকে