গাইবান্ধা সংবাদদাতা
কন্যা প্রসব করায় নবজাতকসহ রোকসানা বেগমের ঠাঁই হয়নি শ্বশুর বাড়িতে। খবর পেয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে নবজাতকসহ তাকে উদ্ধার করে পিত্রালয়ে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে ভুক্তভোগীর শ্বাশুড়ির দাবি- তিন মাস আগেই তাকে তালাক দেওয়া হয়েছে, পেটে বাচ্চা থাকায় বিষযটি জানানো হয়নি তাকে। বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাতে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের ঘোমামারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। নবজাতকসহ প্রসুতিকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাদুল্লাপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মাসুদ রানা।
রোকসানা বেগমের স্বামীর নাম রাজা মিয়া। এক বছর আগে রাজ মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় তার। তার বাবার বাড়ি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধনিয়ারকুড়া গ্রামে, লুৎফর মিয়ার মেয়ে তিনি। রাজা মিয়া ঘোমামারা গ্রামেরই বাসিন্দা মহব্বর আলীর ছেলে।
রোকসানা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে চারদিনের নবজাতকসহ রংপুরের সালেহীন ক্লিনিক থেকে ছাড়পত্র নিয়ে স্বামীর বাড়িতে ফেরেন।কিন্তু বাড়ির প্রবেশ করতে পারেননি।বাড়ির মূল ফটকে তালা ঝুলছিল, ভেতর থেকেও কারও কোনও সাড়া পাননি। তাই নবজাতকসহ সারাদিন বাড়ির উঠানে বসে ছিলেন। ভুক্তভোগী জানান, বিকালে শ্বশুর ও শাশুড়ি বলেন- তিনমাস আগে তাকে তালাক দেওয়া হয়েছে। কোন উপায় না পেয়ে সন্ধ্যার দিকে তিনি ফোন করেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে। ততক্ষণে নবজাতকটি অনেকটাই অসুস্থ্য হয়ে পড়েন।
তিনি জানান, গত ৮ মার্চ স্বামীর বাড়িতে প্রসববেদনা উঠলে তাকে দ্রুত নেওয়া হয় সালেহীন ক্লিনিকে। সেখানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কন্যা শিশু জন্ম নেয়। গৃহবধূর শ্বাশুরী আছমা বেগম জানান, তাকে তালাক দিয়েছে আমার ছেলে। কিছু বলিনি পেটে বাচ্চা জন্যে, যদি কোন কিছু করে বসে। তাই তালাক দেওয়ার পরেও এই বাড়িতে ছিল। ওসি মাসুদ রানা জানান, এই বিষয়ে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
আর/এমকে