প্রায় ১৪ হাজার বাল্যবিয়ের পৌনে ৫ হাজার-ই নিবন্ধিত

১২ মার্চ ২০২১

আইনে নিষেধ থাকলেও গত বছর করোনার সাত মাসে ১৩ হাজার ৮৮৬টি বাল্যবিয়ে হয়েছে দেশে। এর মধ্যে চার হাজার ৮৬৬টি বাল্যবিয়ে  নিবন্ধিত হয়েছে কাজীর মাধ্যমে। আর ৭৮ শতাংশ বাল্যবিয়ের ক্ষেত্রে উদ্যোক্তা মা-বাবা। তবে ১০ দশমিক ৬ শতাংশ মেয়ে নিজেরাই তাদের বিয়ে বন্ধ করেছে। এই কথা বলছে বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)। ২১ জেলার ৮৪ উপজেলায় জরিপ চালিয়ে এই তথ্য পেয়েছে সংস্থাটি। বাল্যবিয়ের অবস্থা দ্রুত বিশ্লেষণ: করোনাকাল ২০২০ শীর্ষক তাদের এই জরিপে  ২১ হাজার ২৫৮ জন অংশ নেয়।

বৃহহস্পতিবার (১১ মার্চ) এক ওয়েবিনারে জরিপের ফল তুলে ধরা হয়।  জরিপে ১০-১৯ বছর বয়সী অবিবাহিত মেয়ে, ১৮ বছরের আগে বিয়ে হওয়া মেয়ে, ১০ -১৯ বছর বয়সী মেয়ের মা-বাবা, স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি, ইউএনও, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের স্থানীয় কর্মকর্তা, কাজী, স্থানীয় নেতা, শিক্ষক ও পুলিশ অংশ নেন।  এদের মধ্যে ৩৭ শতাংশ তাদের প্রতিবেশীদের মধ্যে অন্তত একটি বাল্যবিয়ের কথা জানিয়েছে। করোনাকালে দারিদ্র্য বৃদ্ধি ও পরিবারের সদস্যদের মৌলিক চাহিদার ব্যবস্থা করতে না পারার বিষয়কে এই বিয়ের বড় কারণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ৩০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। অন্য কারণগুলোর মধ্যে আছে -  বিদ্যমান সামাজিক নিয়ম-বিশ্বাস, স্কুল বন্ধ, বাল্যবিয়ের মাধ্যমে অভিভাবকদের কিছু সুবিধা পাওয়ার আশা ও কম পরিমাণ যৌতুক দেওয়ার সম্ভাবনা। 

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর