দুই মামলার বিচার ইস্যূতে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেলবিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা। প্রশ্ন উঠেছে, তার মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে কিনা?
ইউনূসের পক্ষে বারাক ওবামা ও হিলারি ক্লিনটনসহ বিশ্বের ১৬০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও নেতার দেওয়া বিবৃতি আলোচনা প্রসবের পাশাপাশি প্রশ্নটি সৃষ্টি করেছে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি দিয়ে ইউনূসের মামলার বিচারকাজ স্থগিত করার আহবান জানিয়েছেন তারা। বিদেশি বিবৃতিদাতাদের মধ্যে একশ’র বেশি নোবেল বিজয়ী রয়েছেন।
চিঠিটিতে গত দুই নির্বাচনের বৈধতার সংকট থাকার কথা বলা হয়েছে, আর সামনের নির্বাচনের বিষয়ে তাদের নজর রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে ড.ইউনূসের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে বিএনপিও।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, বিদেশি নেতাদের কথায় সরকারের পক্ষে ড. ইউনূসের মামলা তুলে নেওয়া সম্ভব নয়। আর তার মামলা দু’টি রাজনৈতিক বা হয়রানির উদ্দেশ্যে হয়নি। তথ্য বিভ্রাটের কারণে মামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বরা বিবৃতি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সরকার কোনো মামলা করেনি। তার কোম্পানি শ্রমিকদের লভ্যাংশ না দেওয়ায় একটি এবং কর ফাঁকি দেওয়ায় আরও একটি মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন হওয়ায় সরকার বিচারিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে না।
বিদেশিদের বিবৃতিকে চাপ মনে করছে না সরকার জানিয়ে মন্ত্রী মোমেন বলেন, এখানে তথ্যগত ঘাটতি আছে বলে মনে হয়। বড় বড় নেতাদের কেউ হয়তো বলেছে, বাংলাদেশ এ রকম নামিদামি লোককে হয়রানি করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হয়তো বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
এর আগের দিন বুধবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ড. ইউনূসের নাম উল্লেখ না করলেও বলেছেন, তার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের তিনি কেউ নন। দেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। সবকিছু আইন মতো চলে।
বিবৃতিদাতাদের এ দেশে বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবী পাঠানোর আহবান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, তারা সব দলিল দস্তাবেজ খতিয়ে দেখুক- অন্যায় বা অসামঞ্জস্যতা আছে কি-না। না হলে আইন-আদালত, শ্রম আদালত আছে। আইন তার আপন গতিতে চলবে। সরকারের পাওনা অর্থ সরকারকে আদায় করতে হবে।
বিডি/এন/এমকে