ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ওপর একতরফা সমর্থনের ভারতীয় নীতি বদলে যেতে পারে
বলে সাম্প্রতি প্রকাশিত একটি নিবন্ধে জানিয়েছে দ্য ডিপ্লোম্যাট। মূলত ভারতের অবস্থান
বদলে গেলে আওয়ামী লীগের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, সে বিষয়ে এ নিবন্ধে আলোচনা
করা হয়েছে।
নিবন্ধে বলা হয়েছে, মোদির এ মন্তব্য বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের
অস্বস্তির কারণ হতে পারে। তবে এ নিবন্ধের উত্তরে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি বাংলাদেশ
সরকার। বর্তমানে আওয়ামী সরকার আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন
নিয়ে একটি জটিল পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।
নির্বাচন সামনে রেখে এ বছর বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী
দল (বিএনপি) এবং জাতীয় পার্টির সাথে বৈঠক করেছে। গত মার্চে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল
বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সাথে দেখা করা ছাড়াও জাতীয় পার্টির একটি
প্রতিনিধিদল আগস্টের শুরুর দিকে ভারত সফর করে। এক দশকেরও বেশি সময়ে ভারত ও বাংলাদেশের
বিরোধী দলের মধ্যে এ ধরনের কর্মকাণ্ড প্রথম দেখা গেছে।
গত জুলাইয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন অনুসন্ধান মিশন জামায়াতে ইসলামীর
সাথে একটি সংলাপ শুরু করে। তবে এ বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করেছে ভারত। ভারতীয় পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ও এ বৈঠক নিয়ে কোনো বিবৃতি দেয়নি।
এসব উদাহরণ ইঙ্গিত করছে যে, ভারত অতীতের মতো আওয়ামী লীগকে একতরফাভাবে সমর্থনের
বদলে ২০২৪ সালে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রশ্নে অনেক বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি গ্রহণ
করছে। বিষয়টি আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য চিন্তার কারণ হতে পারে। তবে নানা বিষয় থেকে আওয়ামী
লীগ হয়তো সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মোদির মন্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন তোলাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে
না। শেখ হাসিনা ভারতের বিরোধী দল জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখেন। ভারত
সফরে গেলে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি দেখাও করেন।
আরআই