প্রত্যেক বাবা-মা তাদের সন্তানকে জীবনের সর্বোত্তম সূচনা দিতে চান একদম
গর্ভ থেকেই। আর যার জন্য জানা প্রয়োজন মাকে কি খেতে হবে আর কি এড়িয়ে চলতে হবে। এসমঅয়
আপনার শরীরের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কিছু অভ্যাসও বদলাতে হবে। আপনার গর্ভে বড় হতে
থাকা শিশুকে সুরক্ষিত রাখতে গর্ভকালে কিছু বিষয় এড়িয়ে চলতে হবে।
গর্ভাবস্থায় যা খাবেন না-
কাঁচা, পাস্তুরিত দুধ, পাস্তুরিত দুধ থেকে তৈরি নরম পনির, মেয়াদোত্তীর্ণ
খাবার, কাঁচা মাংস, যথাযথ রান্না না করা মাংসের খাবার, যেমন সসেজ ও কোল্ড কাট, রান্না
না করা মাছ এবং সামুদ্রিক খাবার, স্মোকড ফিস বা পোড়া মাছ, রান্না না করা অঙ্কুরিত বীজ,
শস্য ও মটরশুটি এবং কাঁচা ডিম।
অ্যালকোহল এবং গর্ভাবস্থা
গর্ভাবস্থায় অ্যালকোহল পান বিপজ্জনক। এমনকি সামান্য পানেও শিশুর ক্ষতি
হতে পারে। গর্ভে থাকাকালীন অ্যালকোহলের সংস্পর্শে আসা শিশুদের প্রতিবন্ধীতা বাড়ার ঝুঁকি
তৈরি হয় এবং তাদের স্নায়ুজনিত রোগ হতে পারে। এর ফলে তাদের বেড়ে ওঠায় আচরণগত গুরুতর
সমস্যা হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় আপনার সন্তানের স্বার্থে অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়
পান থেকে বিরত থাকুন।
ধূমপান এবং গর্ভাবস্থা
নবজাতকের জন্য বাবা-মা উভয়কেই ধুমপানের বদভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। অনেক সময়
মা ধুমপান না করলেও পাশের কেউ ধুমপান করলে সেটা মায়ের নিঃশ্বাসের মাধ্যমে গর্ভের শিশুর
উপর প্রভাব ফেলে। সিগারেট আপনার গর্ভে থাকা শিশুর জন্য অক্সিজেন সরবরাহ সীমিত করে দিতে
পারে। এটি তার কম ওজন নিয়ে ভূমিষ্ঠ হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ায়। যেসব শিশুর বাবা-মা ধূমপান
করেন তাদেরও হাঁপানি এবং অন্যান্য গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি বেশি থাকে।
ক্যাফিন ও গর্ভাবস্থা
গর্ভধারণের সূচনা থেকে পরবর্তী নয় মাস আপনাকে ক্যাফিন গ্রহণের দিকে নজর
রাখতে হবে। প্রচুর পরিমাণে ক্যাফিন গ্রহণ গর্ভে ভ্রূণের বিকাশ ব্যাহত করে। তাই গর্ভবতী
নারীদের প্রতিদিন ২০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফিন গ্রহণ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।