জন্মের পরপরই এনআইডি পাবে নাগরিক

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশে জন্মের পরপরই জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর পাবে নাগরিক। বয়স যখন ১৮ বছর হবে, তখন তার নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে। ভোটার হওয়ার বিষয়ে একটা নোটিশও পাবেন তিনি। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধনবিল উত্থাপনের দিনে জাতীয় সংসদকে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

বিলটি সোমবার ( সেপ্টেম্বর) উত্থাপন করা হয়। বিলটি পাস হলে জন্মের পরপরই এনআইডি নম্বর পাবে নাগরিক, এনআইডি নিবন্ধন নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের অধীনে চলে যাবে।  ইসির কাছে রক্ষিত এবং তাদের সংগৃহীত এনআইডি নিবন্ধনসহ এ সংক্রান্ত সব তথ্য-উপাত্ত সুরক্ষা বিভাগের অধীনে নিবন্ধকের কাছে হস্তান্তর হবে। এ নিবন্ধক জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করবেন। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন সংক্রান্ত ২০১০ সালের আইন রদের মাধ্যমে আইন করছে সরকার। বর্তমানে এনআইডি দেয় ইসি। 

এদিকে বিলটি পাস হলে ইসির স্বাধীনতা খর্ব হবে বলে মনে করছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম। তার মতে, এ আইনে ভোটার তালিকা প্রণয়নেও সৃষ্টি হবে  জটিলতা। তাই সংসদে বিলটির পাসের বিরোধিতা করেন এ সংসদ।

জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সংসদকে জানান, ভোটার তালিকা প্রণয়নে জাতীয় পরিচয়পত্র আইন কোনও অন্তরায় ঘটাবে না। সেখানে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরাও থাকবেন, ওভাবেই প্রসেস করা হবে। তিনি জানান, সময়োপযোগী বিদেশের সঙ্গে তাল মিলিয়েই এটা করা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র কার্ড সবখানে প্রয়োজন হয়। সেজন্যই এটা করতে যাচ্ছি।

বিদ্যামান জাতীয় পরিচত্র তৈরি ও কার্যকর ব্যবস্থা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, জন্মের দিন থেকেই একটি পরিচয়পত্রের নম্বর হয়ে যাবে একটা শিশুর। যেদিন মৃত্যুবরণ করবে, তার নম্বরটিরও সমাপ্তি ঘটবে। সেটাই উদ্দেশ্য আমাদের।

ওদিকে বিলে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার জন্য পরিচয় নিবন্ধন করতে হবে প্রত্যেক নাগরিককে। জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিবন্ধকের কাছে আবেদন  করতে হবে। তিনি একটা নম্বর দেবেন। এটা একক পরিচিতি নম্বর (ইউনিক আইডেনটিফিকেশন নম্বর) হিসেবে সবখানে ব্যবহার হবে।

বিলে বলা হয়েছে, ভোটার তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত ইসিকে সরবরাহ করবেন নিবন্ধক। সরবরাহকৃত তথ্যের ভিত্তিতেই ভোটার তালিকা তৈরি করবে ইসি। নিবন্ধন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা, সমন্বয় পরিবীক্ষণে থাকবে একটি সমন্বয় কমিটি। কমিটির সভাপতি থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব। সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন নিবন্ধক। সদস্য থাকবেন নির্বাচন কমিশন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিভাগের প্রতিনিধিরা।

 

বিডি/এন/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর