গত অর্থবছরে দেশের চার বিদ্যুৎ কোম্পানি ১১ হাজার ৬১৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা লোকসান করেছে। এর মধ্যে একাই তিন-চতুর্থাংশ লোকসান দিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, তাদের লোকসানের অঙ্ক আট হাজার ৭৭৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। পাইকারি পর্যায়ে সরবরাহ ব্যয়ের তুলনায় কম দরে বিদ্যুৎ বিক্রি করার পাশাপাশি গ্যাসের দামবৃদ্ধিকে লোকসানের জন্য দোষা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদকে লোকসানের এ তথ্য জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এর আগে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় প্রতিমন্ত্রীর কাছে। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
সংসদে প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যমতে, বাকি তিন বিদ্যুৎ কোম্পানি হচ্ছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) ও ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি)। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পর লোকসান দিয়েছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। তাদের লোকসানের পরিমাণ দুই হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা। আর বাকি দুই কোম্পানির মধ্যে ডেসকো ২২৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ও ডিপিডিসি ৪৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা লোকসান দিয়েছে।
লোকসানের কারণ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংসদকে জানান, পাইকারি পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যয় হয়েছে ১১ টাকা ৯ পয়সা। বিপরীতে বিদ্যুৎ বিক্রি করা হয়েছে ৫ টাকা ৭৫ পয়সায়। এতে প্রতি ইউনিটে লোকসান হয়েছে ৫ টাকা ৩৪ পয়সা। তাছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৫ টাকা ২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এতে প্রতি মাসে প্রায় ৮৫০ কোটি টাকা থেকে ৯০০ কোটি টাকা ব্যয় বেড়েছে।
বিডি/এন/এমকে