এশিয়া কাপের সুপার ফোরে বেশ ভালোভাবেই উঠেছে বাংলাদেশ। তবে সুপার ফোরের
প্রথম ম্যাচে মোকাবেলা করে শক্তিশালী পাকিস্তানের। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এদিন
পারেনি বাংলাদেশ। এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে সাকিব বাহিনী। শেষ পর্যন্ত ৩৮ ওভার
৪ বলে ১৯৩ রানে অলআউট হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এ রান তাড়া করতে নেমে খুব সহজেই লক্ষে্য
পৌঁছে যায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পায় তারা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে ৪৭
রানে যোগ হতেই হারিয়ে যায় ২ উইকেট। তবে সাকিব
ও মুশফিকুর রহিমের ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। তবে সাকিব-মুশফিক বিদায় নিলে আর কেউ
ক্রিজে থিতু হতে পারেনি।
মুশফিক ৮৭ বলে ৬৪ ও সাকিব ৫৭ বলে ৫৩ রান করেন। পাকিস্তানের পক্ষে হারিস
রউফ ৪টি ও নাসিম শাহ নেন ৩টি উইকেট।
১৯৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করেন দুই পাক ওপেনার ইমামুল
হক ও ফকর জামান। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে শরিফুলের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন ফকর। তবে তা তালুবন্দি
করতে ব্যর্থ হন নাইম শেখ।
৫ ওভার পর একটি ফ্লাডলাইট বন্ধ হয়ে যায়। সেই কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। তবে
প্রায় ২০ মিনিটে পরেই আবার শুরু হয় খেলা। এরপর কিছুটা আগ্রাসী ব্যাটিং করে দুই পাক
ওপেনার।
তবে ইনিংসের দশম ওভারে প্রথম সাফল্যের দেখা পায় বাংলাদেশ। দলীয় ৩৫ রানে
৩১ বলে ২০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান ফকর। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন পাক অধিনায়ক বাবর
আজম।
ইমামুলকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন বাবর। তবে দলীয় ৭৪ রানে ২২ বলে
১৭ রান করে তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
বাবরের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ইমামুল ও রিজওয়ান মিলে
পাকিস্তানের জয়ের ভীত গড়ে দেন। তবে দলীয় ১৫৯ রানে ৮৪ বলে ৭৮ রানে আউট হন ইমামুল। এরপর
ক্রিজে আসা আঘা সালমানকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন রিজওয়ান।
আরআই