পরীক্ষামূলকভাবে পদ্মা সেতুতে ট্রেন চালানো হয়েছে। কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে
ট্রেনটি যাত্রা করে। সকাল ১০টা ৭ মিনিটের দিকে এ স্টেশন ছেড়ে যায়। দুপুর ১২টা ১৭ মিনিটে
ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছায় ট্রেনটি।
বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণবঙ্গে চলাচল করে পরীক্ষামূলক
ট্রেন।
পরীক্ষমূলক ট্রেনে ছিলেন রেলপথবিষয়ক মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজনসহ সরকারের
বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা। তাদের নিয়েই ট্রেনটি ফের ঢাকায় ফেরে।
সকাল ১১টা ২৭ মিনিটে ট্রেনটি পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ওঠে। আর সেতু অতিক্রম
করে জাজিরা প্রান্তে পৌঁছায় ১১টা ৩৪ মিনিটে। সে হিসাবে সাত মিনিটেই পদ্মা সেতু পাড়ি
দিয়েছে ট্রেননি।
প্রকল্পের প্রকৌশলী সাদমান শাহরিয়ার জানান, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা অংশের ৮২ কিলোমিটার
পথে মাওয়া, পদ্মা, ভাঙাসহ মোট ১০টি স্টেশন রয়েছে। সবগুলোরই প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি
কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ অংশের নিমতলি, শ্রীনগর ও মাওয়াতে রয়েছে তিনটি আধুনিক
স্টেশন। এগুলোর অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শেষ।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক-১ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল
সাঈদ আহমেদ জানান, ঢাকা থেকে মাওয়ার অংশে দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার, ঢাকার কমলাপুর
থেকে রওনা হয়ে পরীক্ষামূলক ট্রেনটি প্রথমে মাওয়া স্টেশনে পৌঁছায়। সেখানে রেলমন্ত্রীসহ
সংশ্লিষ্টরা প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ৪২ কিলোমিটার
পথ পাড়ি দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা অংশে পৌঁছায় ট্রেনটি। ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সাংবাদিকদের
রেলমন্ত্রীর ব্রিফিং করেন। পরে ভাঙ্গা থেকে সরাসরি ট্রেনটি কমলাপুর স্টেশনে ফিরে যায়।
পরীক্ষামূলক ট্রেনটিতে আটটি বগি রয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় মোট ১০০টি বগি
বিদেশ থেকে আনার কথা রয়েছে।
পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল সফল হলে আগামী ১০ অক্টোবর যাত্রী চলাচলের জন্য
খুলে দেওয়া হবে ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের রেলপথ। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরআই