বোনকে পিটিয়ে হত্যা, ভাইয়ের অভিযোগ আমলে নেয়নি পুলিশ

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আত্মহত্যা নয়, পিটিয়েই তার বোন চম্পা খাতুনকে (৩৮) হত্যা করা হয়েছে। কেননা চিকন দড়ি দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা সম্ভব নয়। পিটিয়েছে তার স্বামী নওশের আলী। এমন দাবি করেছেন চম্পা খাতুনের ভাই সাইদুল ইসলাম। তার দাবি, এ ঘটনায় বিচার চেয়ে থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশ সেটা আমলে না নিয়ে অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করেছে।

চম্পা খাতুন নাটোরের উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের খামার পাথুরিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের পাইকারের মেয়ে। গত সোমবার ( সেপ্টেম্বর) রাতে তার লাশ স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার পরদিন ময়না তদন্তের জন্য নাটোর মর্গে পাঠায় পুলিশ।

অভিযুক্ত নওশের আলী চাপিলা ইউনিয়নেরই নওপাড়া গ্রামের মৃত চ্যাকা জবেদারের ছেলে।

সাইদুল ইসলাম বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় তার বোনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। প্রতিবেশিদের মাধ্যমে রাত ১০ টার দিকে খবর পান তিনি। এরপর বোনের বাড়িতে এসে দেখেন- চম্পার লাশটি ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। ঘরের আসবাবপত্র সব এলোমেলো ছিল। ঘরের ডাবে ঝুলছিল এক টুকরো সরু দড়ি। হত্যার  ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দিতেই দড়িটি ঝুলানো হয়। কারণ এ দড়ি দিয়ে ডাবে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা সম্ভব না বলে মনে করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, প্রায় ১৮ বছর আগে নরশেদ আলীর সাথে চম্পার বিয়ে হয়। সম্প্রতি তাদের মায়ের মৃত্যু হয়। এরপর তার রেখে যাওয়া জমি বিক্রি করে টাকা আনতে চম্পাকে চাপ দিচ্ছিলেন নরশেদ।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরহাদ হোসেন বলেন, ওই পরিবারে দ্বন্দ্ব চলছিল। বিষয়টি নিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে। পলাতক থাকায় অভিযুক্ত নরশেদ আলীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, ঘটনার রাতে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর ভাইয়ের দেওয়া অভিযোগটি অপমৃত্যুর মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

বিডি/সাজেদুর রহমান সাজ্জাদ/সি/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর