পঞ্চগড়ের সিংহভাগ কৃষক পায়নি প্রণোদনার পাটবীজ ও সার

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পঞ্চগড় পাট অধিদফতর

পঞ্চগড়ে তালিকাভুক্ত সিংহভাগ কৃষক সরকারের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় পাটবীজ সার পাননি। এ বীজ পড়ে রয়েছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউন রুমে।

সংশ্লিষ্টদের এ খামখেয়ালিপনায় প্রণোদনার বীজে পাট আবাদ করতে পারেননি তালিকাভুক্ত চাষীরা। তালিকায় নাম থাকলেও বিনামূল্যের এ বীজ ও সার না পাওয়ায় তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা গেছে, চলতি বছরে পাটের উৎপাদন বাড়াতে চাষে উদ্বুদ্ধ করতে এ প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ সার  বরাদ্দ দেয় সরকার। এ উপজেলায় হাজার ২০০ জন কৃষকের নাম এ প্রণোদনার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়।

জনপ্রতি কৃষকের জন্য এককেজি পাটবীজ সাড়ে কেজি সার বরাদ্দ দেওয়া হয়। সাড়ে ৯ কেজি সারের মধ্যে ৫ কেজি ইউরিয়া, কেজি টিএসপি,আড়াই কেজি এমওপি সার রয়েছে।

কিন্তু তালিকাভুক্ত কিছু কৃষকের মাঝে পাটবীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। সেটাও আবার মৌসুমের শেষ দিকে। আবার কেউ বীজ পেলেও পায়নি সার। ফলে ব্যাহত হয়েছে তাদের পাটের আবাদ। তালিকায় নাম থাকা প্রায় দুইশ’ কৃষকের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। তালিকায় ভুয়া নাম ঠিকানাও ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে।

সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আল ইমরান খান বলেন,পাটবীজ কিছু পেয়েছি। সাথে কেজি করে সার। হাফিজাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বলেন, অসময়ে পাটবীজ ও কিছু সার দিয়েছে। কেউ নিয়ে গেছে। কিছু পরিষদে এখনো পড়ে আছে।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা বাদশা হোসেন বলেন, প্রথম দিনে উদ্ধোধন করে কিছু কৃষককে পাটবীজ  ও সার দেওয়া হয়েছে। পরে প্রতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে হিসেব করে পাটবীজ ও সার বুঝিয়ে দেওয়া হয়। জনবল না থাকায় আমাদের পক্ষে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি।

ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড়ের দায়িত্বে থাকা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা অসীম কুমার মালাকার বলেন, তালিকায় নাম থাকার পরও কোনো কৃষক বীজ সার সঠিকভাবে না পেয়ে থাকলে খোঁজখবর নিয়ে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি/সম্রাট হোসাইন/সি/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর