দেশে আগামী ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে ৭৫ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য লাগবে এ অর্থ। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলনে এনার্জি পলিসি শীর্ষক এক সেমিনারে বিষয়টি জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন প্রথমবারের মতো হচ্ছে ঢাকায়। সেমিনারে স্পিকার ছিলেন- রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার ফর সাইন্স অ্যান্ড ইন্জিনিয়ারিংয়ের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান তালুকদার, সিপিডি’র রিসার্চ ডিরেক্টর খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চের (সিইআর) ডিরেক্টর শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।
বিদ্যুৎ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আরো বলেন, দেশে বর্তমানে সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে এ নিয়ে কাজ করছে সরকার। জ্বালানি পুড়িয়ে উৎপাদিত বিদ্যুতের বাইরে ৬ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে ২০ মিলিয়ন লোককে বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফসিল ফুয়েল হতে ক্লিন এনার্জির সফল ট্রানজিশনে সমন্বিত ও সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। নবায়ণযোগ্য জ্বালানির উন্নয়ন, জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধি ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ব্যবহার বৃদ্ধিতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। নবায়ণযোগ্য জ্বালানির প্রসারের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়ণযোগ্য জ্বালানি হতে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
পরিচ্ছন্ন ও সবুজ জ্বালানির প্রতি প্রতিশ্রুতির কারণে দশটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বাতিল করেছে সরকার। ফলে ১০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চলে গেছে বলেও জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।