অতিমাত্রার শুল্ক কাটছে ভোক্তার পকেট

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় অতিমাত্রায় শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে প্রায় ৪৪ দশমিক ২৭ শতাংশ বেশি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে এ দেশের ভোক্তাদের। এভাবে বছরে ভোক্তাদের পকেট থেকে বাড়তি খরচ হচ্ছে ২ লাখ ৮০ হাজার ৩০০ কোটি টাকা, জিডিপির ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। তাছাড়া অতিমাত্রায় শুল্ক নির্ধারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে পণ্য রফতানিতেও।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ট্যারিফ প্রটেকশন অ্যান্ড এক্সপোর্ট ডাইভারসিফিকেশন আর নট সিমচ্যুয়ালি এক্সক্লুসিভ: দ্য বাংলাদেশ ফেনোম্যানা শীর্ষক সেমিনারে বিষয়টি জানানো হয়। রাজধানী ঢাকার আগারগাঁও এ বিআইডিএস সন্মেলন কক্ষে এ সেমিনার হয়।

সেমিনারে জানানো হয়, কিছুটা কমানো হলেও এখনো দেশে গড় আউটপুট ট্যারিফ বেশি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এ ট্যারিফ ছিল ৪৬ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এর পরিমাণ ৪৪ দশমিক ২৭ শতাংশ। বিপরীতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে গড় ইনপুট ট্যারিফ ছিল ১২ দশমিক ৮ শতাংশ। চলতি ১৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। এসব কারণে  একদিকে রফতানি বাড়ছে না, অন্যদিকে বহুমুখীকরণও হচ্ছে না।

কারণ হিসেবে সেমিনারে বলা হয়, লাভ বেশি হওয়ায় রফতানির চেয়ে দেশীয় বাজারে পণ্য বিক্রি করতেই বেশি আগ্রহী হচ্ছে উৎপাদকেরা। অন্যদিকে নানা শর্তপূরণসহ বিভিন্ন জটিলতার পাশাপাশি লাভ কম হওয়ায় রফতানিতে নিরুসাহিত হচ্ছেন তারা। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আউটপুট ট্যারিফ কমিয়ে দেওয়া দরকার। নিত্য পণ্যেও দাম কমাতে প্রয়োজন ইনপুট ও আউটপুট ট্যারিফ দুটোই কমানো।

সেমিনারে বলা হয়, দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় সরকারের দেওয়া সব সুবিধা নিয়ে এ দেশে বিনিয়োগ করা আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো অভ্যন্তরীণ বাজারেই তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করছে। ফলে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এদেশে খুব বেশি লাভ হচ্ছে না। তাই রফতানিকারক এ দেশে বিনিয়োগ করা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

 

সেমিনারে জানানো হয়, বর্তমানে রফতানি বৃদ্ধির পাশাপাশি রফতানি পণ্যের ঝুড়ি বহুমুখীকরণ করতে হবে। এতে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগও বাড়বে। সাধারণ ভোক্তাদের বেশি দামে পণ্য কিনতে হবে না। এছাড়া শুধু পোশাক খাতে নয়, সব খাতের শিল্পের জন্য সমান সুযোগ থাকা দরকার।

 

বিডি/ইডি/এমকে

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর