জ্বালানি তেল খালাস: বছরে সাশ্রয় হবে ৮০০ কোটি টাকা

রবি
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিদেশ থেকে আমদানি করা জ্বালানি তেল খালাসে আর লঅগবে না ১২ দিন। ৪৮ ঘন্টায়ই হয়ে যাবে খালাস। এছাড়া লাগবে না লাইটার জাহাজও। এতে বছরে সাশ্রয় হবে ৮০০ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে আমদানিকৃত জ্বালানি তেল খালাস এবং পরিবহন প্রক্রিয়ায় আধুনিক যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ।

 

অক্টোবরেই গভীর সমুদ্রে নোঙর করা বড় জাহাজ থেকে পাইপলাইনে কক্সবাজারের মহেশখালীতে আসতে যাচ্ছে জ্বালানি তেল। এরই মধ্যে প্রকল্পের ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

 

এটি শেষ হলে বহির্বিশ্বের মতো কম খরচে, কম সময়ে তেল খালাস করতে পারবে বাংলাদেশ। এটির জন্য গভীর সমুদ্রে বসানো হয়েছে বিশেষ বয়া। সেই বয়ার মাধ্যমে গভীর সমুদ্রে নোঙর করা বড় জাহাজ থেকে সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে যাওয়া ডাবল পাইপলাইনে মহেশখালীতে নির্মিত স্টোরেজ ট্যাঙ্কে আসবে জ্বালানি তেল।

 

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, এসপিএম প্রকল্পের আওতায় ২২০ কিলোমিটার পাইপলাইনের পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে ছয়টি বিশালাকার স্টোরেজ ট্যাঙ্ক। এর মধ্যে ৬০ হাজার কিলোলিটার ধারণ ক্ষমতার তিনটি ট্যাঙ্কে অপরিশোধিত তেল এবং বাকি তিনটির প্রতিটিতে ৩৬ হাজার কিলোলিটার ধারণ ক্ষমতার তিনটি ট্যাঙ্কে ডিজেল সংরক্ষণ করা হবে। একই সঙ্গে তৈরি করা হয়েছে পাম্প স্টেশন, বুস্টার পাম্প, জেনারেটর, মিটারিং স্টেশন, ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম, যা এখন পুরোপুরি দৃশ্যমান।

 

প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. শরিফ হাসনাত বলেন, জ্বালানি তেল সংরক্ষণের জন্য বিশালাকার তিনটি ক্রুড অয়েল ট্যাঙ্ক ও তিনটি ডিজেল অয়েল ট্যাঙ্ক করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ক্রুড অয়েল ট্যাঙ্কে ধারণ ক্ষমতা ৪২ হাজার মেট্রিক টন করে তিনটি ট্যাঙ্কে ১২৬ মেট্রিক টন এবং প্রত্যেকটি ডিজেল অয়েল ট্যাঙ্কে ধারণ ক্ষমতা ২৬ হাজার মেট্রিক করে তিনটি ট্যাঙ্কে ৭৮ হাজার মেট্রিক টন মজুদের সক্ষমতা রয়েছে। সবমিলিয়ে এই প্রকল্পের মাধ্যমে দুই লাখ চার হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল মজুদের সক্ষমতা বাড়ছে।

 

মো. শরিফ হাসনাত জানান, প্রকল্পের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম বা কমিশনিংয়ের কাজ পুরোপুরি অক্টোবরের শেষের দিকে কিংবা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে। প্রথমে ক্রুড অয়েল কমিশনিংয়ের কার্যক্রম শুরু হবে এবং তার পরপরই ডিজেল অয়েল কমিশনিংয়ের কার্যক্রম শুরু হবে- এভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে। আশা করছি, যথাসময়ে এটা সম্পন্ন করতে পারব।

 

আরআই


মন্তব্য
জেলার খবর