কেন এফডিসিতে নেয়া হয়নি সোহানের মরদেহ?

Super Admin
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

একজন সফল নির্মাতা ছিলেন সোহানুর রহমান সোহান। তার স্ত্রীর মৃত্যুর একদিন পর বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মারা গেছেন তিনি। তাই টাঙ্গাইলে স্ত্রীর কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হয়। খ্যাতিমান এই পরিচালকের হাত ধরে চলচ্চিত্রে এসেছে অনেক জনপ্রিয় তারকা। তবু নির্মাতা সোহানের মরদেহ নেওয়া হয়নি এফডিসিতে।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সোহানের মরদেহ তার শ্বশুরবাড়ি টাঙ্গাইলের পলাশতলী এলাকায় নেওয়া হয়। সকাল ৯টায় জানাজা শেষে টাঙ্গাইলের কেন্দ্রীয় কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশেই তাকেও দাফন করা হয়। যদিও তাকে দেখার জন্য সেখানে ভিড় জমান অনুরাগী, সহকর্মী, স্বজন।

এর আগে উত্তরার বাসায় তার প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। যেখানে চিত্রনায়ক শাকিব খান, রিয়াজ, ফেরদৌস, নিপুণসহ আরও অনেক শিল্পীরা শেষ বারের জন্য তাকে একবার দেখতে যান। মৃত্যুকালে তিনি তিন মেয়ে রেখে গেছেন। দুই মেয়ে দেশে থাকেন। একজন মালয়েশিয়ায় পড়াশোনা করেন।

সোহানুর রহমান সোহানের মেয়ে সৃষ্টি তার মরদেহ এফডিসিতে না নেওয়ার কারণ জানিয়ে বলেন, যখন বাবা অসুস্থ ছিলেন তখন চলচ্চিত্রাঙ্গণের কেউ তেমন খোঁজখবর নেয়নি। সেজন্য মায়ের ইচ্ছা ছিল, বাবা মারা গেলেও যেন তার মরদেহ এফডিসিতে নেওয়া না হয়। তাই সেটাই হবে।

এদিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, ইসলামিক রীতি অনুযায়ী পরিচালক সোহানের পরিবার তাড়াতাড়ি মরদেহ দাফন করতে চান।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে  তার স্ত্রী প্রিয়া রহমান রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ঠিক এর এক দিন পর গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মারা যান সোহানুর রহমান সোহান।


সোহানুর রহমান সোহানের কর্মজীবন শুরু হয়েছিল ১৯৭৭ সালে, পরিচালক শিবলী সাদিকের সহকারী হিসেবে। ১৯৮৮ সালে প্রথম মুক্তি পায় সোহানুর রহমান সোহান নির্মিত প্রথম সিনেমা ‘বিশ্বাস অবিশ্বাস’। ১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে তিনি খ্যাতি লাভ করেন।


মন্তব্য
জেলার খবর