জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১৭ শুরু হয়ে ২৬ মার্চ শেষ হবে এই কর্মসুচি। শুক্রবার (১২ মার্চ) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে  এই তথ্য জানান  ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। মি. চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক।

সংবাদ সম্মেলেনে জানানো হয়,  ‘মুজিব চিরন্তন’ ও ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবে ১৭ মার্চ বিকাল সাড়ে চারটায়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর বিশেষ অতিথি  থাকবেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইবরাহিম মোহামেদ সলিহ। ১০ দিনের থিম ‘মুজিব চিরন্তন’। প্রতিদিনের থিম হচ্ছে— প্রথম দিন ১৭ মার্চ ‘ভেঙেছে দুয়ার সেজেছো জ্যোতির্ময়’, ১৮ মার্চ ‘মহাকালের তর্জনি, ১৯ মার্চ ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’, ২০ মার্চ ‘তারুণ্যের আলোক শিখা’, ২১ মার্চ ‘ধ্বংসস্তূপে জীবনের গান’, ২২ মার্চ ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’, ২৩ মার্চ, ‘নারী মুক্তি, সাম্য ও স্বাধীনতা’, ২৪ মার্চ ‘শান্তি মুক্তি ও মানবতার অগ্রদূত’, ২৫ মার্চ ‘গণহত্যার কাল রাত্রি ও আলোকের অভিযাত্রা’, এবং ২৬ মার্চ ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা’ নির্ধারণ করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে দুটি পর্বে। প্রথম পর্বে আলোচনা সভা, দ্বিতীয় পর্ব-  সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুরো অনুষ্ঠান ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সম্প্রচার এবং ভারত ও চীনে সরাসরি অথবা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সম্প্রচার করা যাবে। ১৮ মার্চ অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটে। অনুষ্ঠানে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও বার্তা থাকবে। এছাড়া ভিয়েতনামের একটি প্রোগ্রাম থাকবে।  ১৯ মার্চ শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে উপস্থিত থাকবেন। শ্রীলঙ্কার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।২০ মার্চের অনুষ্ঠানে ওআইসির সেক্রেটারি জেনারেল ভিডিও বার্তা দেবেন এবং জাপান একটি অনুষ্ঠান উপহার দেবে।

সংবাদ সম্মেলনে ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির সভাপতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এমকে