ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ভোগান্তিতে সেবা প্রত্যাশীরা

নীলফামারী প্রতিনিধি
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিল বকেয়া থাকায় ১৪-১৫ দিন দিন আগে  নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এতে বন্ধ হয়ে গেছে পরিষদের ডিটিজাল সব কাজকর্ম। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে সেবা প্রত্যাশী সাধারণ মানুষ। বকেয়া বিলের পরিমাণ ৩৮ হাজার টাকা।

স্বল্প সময়ে নাগরিক সেবা নিশ্চিত ও আধুনিকায়ন করতে এ পরিষদে চালু করা হয়েছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার। পরিষদের বেশিরভাগ কাজ এখন ডিজিটাল সেন্টার থেকেই করা হয়। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় ডিজিটাল সেন্টারের ফটোকপি মেশিন, কম্পিউটার ক্যামেরাসহ বিদ্যুৎ চালিত সব যন্ত্র অচল হয়ে পড়েছে। এতে থমকে রয়েছে ইউনিয়নের সেবা কার্যক্রম।

মোবাশ্বের আলী বলেন, বকেয়া বিল পরিশোধ করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান টাকা দিয়ে গেছেন। আশা করা হচ্ছে. আগামী রোববারের মধ্যেই আবার বিদ্যুৎ সংযোগ সচল হবে।

ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মিজানুর রহমান  বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় তাদের কাজের খুব সমস্যা হচ্ছে। প্রতিদিনই কেউ না কেউ সেবা নিতে এসে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। অফিসের কম্পিউটার, ডিজিটাল তথ্য সেবা, ফটোকপি মেশিনগুলো অচল হয়ে পড়ে রয়েছে।

ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা মোমেনা বেগম বলেন, ১০ দিন ধরে ঘুরেও জন্ম নিবন্ধন নিতে পারিনি।  আমার মতো অনেক লোক সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, আমরা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে দিয়েছি। তারা সংযোগ লাগিয়ে দিবে। পূর্ববর্তী ইউপি সচিবের কারণে একটু সমস্যা হয়েছিল, এখন তা সমাধান হয়েছে।

নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিমলা সাব-জোনাল ম্যানেজার (এজিএম) আব্দুল্লাহ-আল-কাফি জানান, টেপাখরিবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের নিকট ৩৮ হাজার ৫৬ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। যে কারণে তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। টাকা জমা দেওয়া মাত্রই বিদ্যুৎ লাইন পুনঃসংযোগ করে দেওয়া হবে।

 

বিডি/রাশেদুল ইসলাম/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর