দেশের বাজারে খুচরায় বিক্রির জন্য আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দরে বিক্রি করলে আইনত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে- নির্ধারিত দাম ঘোষণার সময় এ হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। কিন্ত ব্যবসায়ীরা বাগড়া দেওয়ায় খুচরা বাজারে নতুন দরের কোনো প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি এখনো। বরং আগের দরেই বিক্রি হচ্ছে, আগের দাম নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি।
ভোক্তাদের অভিযোগ, বাজার মনিটরের অভাবে এখনো নির্ধারিত দর কার্যকর হয়নি। যদিও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের বলেছেন- বেঁধে দেওয়া পেঁয়াজ, আলু, ডিমসহ তিনটি কৃষি পণ্যের দাম শক্তভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। তবে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সুবিধা নিচ্ছেন।
প্রতি কেজি আলু ৩৫-৩৬ টাকা এবং পেঁয়াজ ৬৪-৬৫ টাকা আর ডিমের পিস ১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এ ঘোষণা দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজারের তথ্য বলছে, প্রতি কেজি আলু ৫০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা দরে।
খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, সরকারের ঘোষণা দেওয়া দরে এসব পণ্য বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে তাদের। কারণ ক্রয়মূল্য বেশি। দাম নিয়ন্ত্রণ করতে আড়তে মনিটরিং বাড়ানোর দাবি তাদের।
তারা জানান, পাইকারি মোকামে পণ্যের দাম বেশি থাকলে বেশি দামেই বিক্রি করতে হয়। কমে কিনতে পারলে, কম দামে বিক্রি করতে কোনো সমস্যা নেই।
পাইকারি দরে নিত্যপণ্যের সামগ্রী বিক্রেতারা বলছেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের কথা শুনেছি। কিন্তু এ দামের তালিকা এখনো হাতে আসেনি। বেশি দাম দিয়ে এসব পণ্য কেনা হয়েছে, লোকসানের টাকা কী সরকার দেবে?
ভোক্তারা বলছেন, দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে সেগুলোর দাম কমেনি। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু রাতারাতি দাম বাড়িয়ে পণ্য বেশি দামে বিক্রি করলে বাড়তি দাম দিয়েই কিনতে হয় সাধারণ মানুষকে।
তারা বলছেন, বাজারে মনিটরিং হয় না নিয়মিত। সরকারের নির্দেশ অমান্যকারীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। আনলে দাম কমবে অবশ্যেই। সরকারের আরও কঠোর হওয়া উচিৎ।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের বলেন- সবাই মিলে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর বাজার মনিটরের নির্দেশ দিয়েছেন, তার নির্দেশে আমরা শক্ত অবস্থানে রয়েছি। আমরা মনে করি না- ঘাটতি আছে। সরকারের হাত অনেক লম্বা। আমরা শক্ত হাতেই ব্যাপারটা দেখবো।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান- দেশি বা বিদেশি যখন যে পণ্যের মজুদ কমে যায়, তখন সেই পণ্যের দাম নির্ধারণ করে সরকার। এখন থেকে ন্যায্য দাম কার্যকর হবে।
বিডি/ই/এমকে