ব্যাংকে নতুন কোটিপতি আমানতকারী ৫ হাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

করোনা আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও কমছে। বিশ্ব অর্থনীতির মন্দা প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও। উচ্চমূল্যস্ফীতির প্রভাবে সংসারে নিত্যপণ্যের যোগান দিতে অনেকেই খাচ্ছেন তার সঞ্চয় ভেঙে। তবে এমন পরিস্থিতিতেও দেশে ব্যাংকে কোটিপতি আমানতকারীর হিসাব সংখ্যা বেড়েছে, পরিমাণে ৫ হাজার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে আমানতকারী বৃদ্ধির তথ্য জানা গেছে। গত এক বছরে বেড়েছে এ পাঁচ হাজার আমানতকারী হিসাব। গেল তিন মাসে বৃদ্ধির পরিমাণ তিন হাজারের বেশি।

গত মার্চে ব্যাংকগুলোতে কোটিপতি আমানতকারীর হিসাব সংখ্যা ছিল এক লাখ ১০ হাজার ১৯২। জুনে এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৫৪।

যদিও এ আমানতকারীর সবাই ব্যক্তি কি-না, সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে ব্যাংক সংশ্লিষ্টদের। তাদের যুক্তি, এ তালিকায় ব্যক্তি ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। আর ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কয়টি ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে, সেটির কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। তাই কোটি টাকাওয়ালা মানুষের সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া কষ্টসাধ্য। ব্যাংকে কোটি টাকার হিসাব সংখ্যা থেকে একটা ধারণা পাওয়া যায় মাত্র।

সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, এক কোটি টাকার বেশি আমানত থাকা লাখ ১৩ হাজার ৫৫৪টি হিসাবে মোট জমা আছে সাত লাখ ৩১ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। গড়ে প্রতিটি হিসাবে জমা রয়েছে ছয় কোটি ৪৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। ২০২২ সালের জুনে কোটিপতি হিসাবের সংখ্যা ছিল এক লাখ আট হাজার ৪৫৭।

 

এদিকে অর্থনীতি বোদ্ধাদের মতে, দেশে থেকে টাকা পাঁচার ঠেকোনো গেলে কোটিপতি আমানতকারী ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা বাড়বে। কারণ প্রতিবছর দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে।

কোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধিকে অশুভ লক্ষণ হিসেবেই মনে হচ্ছে তাদের কাছে। কারণ হিসেবে বলেছেন, কোটিপতি বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের মাঝে আয়ের বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা বাড়াটা ইতিবাচক হলেও আয়ের বৈষম্য বেড়ে যাওয়াটা অবশ্যই নেতিবাচক।

 

 

বিডি/ই/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর